চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন শ্রীলংকার

image-790705-1711832690

তর্কযোগ্যভাবে চট্টগ্রামের ব্যাটিং কন্ডিশনের সুফল ভোগ করার আভাস প্রথমদিনই দিয়ে রাখল টসজয়ী শ্রীলংকা। শুকনো খটখটে উইকেটে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন শেষে সফরকারীরা অনেকটা নির্ভার স্কোর বোর্ডে চার উইকেটে ৩১৪ রান জমা করে।

ছয়টি দুই অঙ্কের রান, তিনটি হাফ সেঞ্চুরি এবং তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি (এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ)-দিনটি শ্রীলংকারই। দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলংকা এগিয়ে ১-০তে। সিলেটে প্রথম টেস্টে তারা জয়ী হয় ৩২৮ রানে।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিশান মাদুশকা ও দিমুথ করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ হয়। ২৮ ওভারের বেশি ব্যাট করে এ দুজন লংকানদের বড় পুঁজির সন্ধান দিয়ে রাখেন। নতুন বলে বাংলাদেশের পেসাররা এ সময় সামান্যতম সুযোগ পাননি।

অগত্যা সপ্তম ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসা হয় সিরিজে প্রথম খেলতে নামা সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু তিনিও তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। এর মধ্যে গোটাদুয়েক ক্যাচ মিস এবং একটি রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করায় উদ্বোধনী সেশনে শ্রীলংকা অক্ষত রয়ে যায় কোনো উইকেট না হারিয়ে।

ওপেনার নিশান মাদুশকার (৫৭) রানআউটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম সফলতা পায় লাঞ্চের পর। এরপর আবার দীর্ঘ উইকেটখরা। দ্বিতীয় উইকেটে দিমুথ করুনারত্নে (৮৬) ও কুশল মেন্ডিসের (৯৩) ১১৪ রানের জুটি অপেক্ষা বাড়ায় বাংলাদেশি বোলারদের।

চা-বিরতির আগে করুনারত্নে ১৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদের ডেলিভারি টেনে আনেন স্টাম্পে।

শ্রীলংকা ততক্ষণে ২০০ পার করেছে। মেন্ডিসকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন সাকিব। স্লিপে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নয় ওভার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে (২৩) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। দিনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বাকি সময় পার করে দেন যথাক্রমে ৩৪ ও ১৫ রানে অপরাজিত থেকে। হাসান মাহমুদ দুটি উইকেট নেন ৬৪ রান দিয়ে।

Pin It