চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মার্চ। একইদিনে জাতীয় সংসদের শূন্য দুটি আসন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর এই তফসিল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, চসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১ মার্চ হবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। ৮ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মার্চ। চট্টগ্রাম সিটিতে ২৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভোটই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হবে। একই দিন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয় তফসিল।
ভোটাররা ঘুম থেকে ওঠে না, তাই ভোট ৯টায় শুরু
ইভিএমে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তাকারী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা ভোট দেয়ার গোপন কক্ষে অবস্থান করেছে। এটা প্রতিরোধে এবার কী ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, এই ধরনের কাজ করার সুযোগ নাই। নির্বাচন করা একক কারও দায়িত্ব নয়। এটার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সেসব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবার সমন্বিত দায়িত্ব। সবাই যদি যার যার দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নাই।
এই ধরণের ঘটনা ঘটলে দায়টা কার উপরে পড়বে? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যদি সেখানে প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকে, তাহলে সেখানে কোনো সুযোগ থাকবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে যেটা করা সেটা হলো-পোলিং অফিসার দেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রাখা, প্রিজাইডিং অফিসার রাখা। কিন্তু যারা নির্বাচন করবেন তারা যেনো তাদের পোলিং এজেন্ট দেন।