উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ১০৭টির মধ্যে বেশির ভাগ উপজেলাতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানেও রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
রোববার ভোট হওয়ার কথা ছিল ১২৮টি উপজেলায়। তবে আগেই স্থগিত হয়ে যায় ছয়টিতে। বাকি ১২২টি উপজেলার ১৫টিতে ভোট হয়নি। এগুলোতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফল নিষ্পত্তি হয়েছে।
মোট ২৪টিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। এ দফায় সব মিলিয়ে ভোটের আগেই ৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত বেসরকারি ফল-
ঢাকা বিভাগ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মুজাহিদুর রহমান (৮০,০৫৮) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ইকবাল হোসেন মোল্লা (৭,৮৮৯), রূপগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের শাহজাহান ভূঁইয়া ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তাবিবুল কাদের তমাল।
মুন্সীগঞ্জের সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আনিসুজ্জামান আনিস (৪৬,৬৮৪) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মাহাতাব উদ্দিন কল্লোল (৪১,৮৩৭), সিরাজদীখানে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহমেদ ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প যুবধারার আসাদুজ্জমান বাচ্চু।
চট্টগ্রাম বিভাগ: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক বাদশা (২০,২২৯) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোহাম্মদ উল্লাহ (৬,৬৯১), চাটখিলে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির (৪৭,৫৪৪) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী বজলুল করিম বাচ্চু (১,০৫৮), বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন সেনবাগে জাফর আহম্মেদ চৌধুরী, সোনাইমুড়ীতে খন্দকার রুহুল আমিন, সুবর্ণচরে খায়রুল আনম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জে মো. শাহাব উদ্দিন। তারা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফিরোজুর রহমান ওলিও (৮০,৫৪৫) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম (১২,৭৭৯), নাসিরনগরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের রাফিউদ্দীন (৬৫,০০০) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার (১৪,৯৭৮), সরাইলে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিক উদ্দীন ঠাকুর (১৮,০৫৭) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শের আলম (১১,০০০), আশুগঞ্জে জয়ী আওয়ামী লীগের মো. হানিফ মুন্সি (৩৭,২৪৩) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনিসুর রহমান (২০,০৪৯), নবীনগরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাজী জহির উদ্দীন সিদ্দিক (৯,২৫৩) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মনিরুজ্জামান (৫,৭৮১), আখাউড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
খুলনা বিভাগ: খুলনার রূপসায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের কামালউদ্দিন বাদশা ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলী আকবর শেখ, কয়রায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম শফিকুল ইসলাম ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জি এম মোহসীন রেজা, দাকোপে জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মুনসুর আলী খান ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবুল হোসেন, পাইকগাছায় জয়ী আওয়ামী লীগের গাজী মো. আলী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনিরুল ইসলাম, তেরখাদায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শহিদুল ইসলাম ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। ফুলতলা ও ডুমুরিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিজয়ী আওয়ামী লীগের শাহী আলম বাচ্চু ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুল। ফকিরহাটে জয়ী আওয়ামী লীগের স্বপন দাস ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির নূর মোহাম্মদ মোড়ল, মোল্লারহাটে জয়ী আওয়ামী লীগের শাহীনুর আলম ছানা ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোতাহার হোসেন মোল্লা।
যশোরের বাঘারপাড়ায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নাজমুল ইসলাম কাজল ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হাসান আলী, ঝিকরগাছায় জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনিরুল ইসলাম ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, চৌগাছায় জয়ী আওয়ামী লীগের ড. মোস্তানিসুর রহমান ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম হাবিবুর রহমান, অভয়নগরে জয়ী আওয়ামী লীগের শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রবীন অধিকারী ব্যাচা, মনিরামপুরে জয়ী আওয়ামী লীগের নাজমা খানম ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আমজাদ হোসেন লাভলু, কেশবপুরে জয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাজী রফিকুল ইসলাম ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এইচ এম আমীর হোসেন।
বরিশাল বিভাগ: পটুয়াখালীর সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের গোলাম সারওয়ার (৫৭,০৮৬) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবুল কালাম আজাদ (২৮,৫১৭), গলাচিপা উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের মো. শাহিন (৪৬,৩৯৬) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শামসুজ্জামান লিকন (৩,৯৬৮), কলাপাড়া উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের এস এম রাকিবুল আহসান (৩৩,৩০৯) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সৈয়দ আখতারুজ্জামান পোক্তা (২৬,৪৬৪), মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু বকর সিদ্দিক (২৫,৮১০) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গাজী আতাহার উদ্দিন (১,১০৪), দুমকী উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের হারুনর রশিদ হাওলাদার (১২,৩২৬) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শাজাহান শিকদার (১০,৪২২), বাউফল উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের আবদুল মোতালেব হাওলাদার (৫২৯০১) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মজিবর রহমান (৩৫,৬৩৭), ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোশারফ হোসেন দুলাল (২৪,৭৯২) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফজলুল হক দেওয়ান (১১,৬৩৭), লালমোহন উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (২৯,৭৭০) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম (১৭,৩৮২), বরগুনার সদরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মনিরুল ইসলাম (৩৯,৯২২) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শাহ মো. ওলিউল্লাহ (২৭,০৫০), আমতলী উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম সারওয়ার ফোরকান (৩৫,৬২৮) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শামসুদ্দিন আহমেদ সজু (২৬,৩৩৬), বেতাগী উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের মাকসুদুর রহমান ফোরকান (২৯,৯৫৩) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী মো. শাজাহান কবির (১,৬৩৫), বামনা উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম লিটু (১৪,৭৮৫) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি বিদ্রোহী সৈয়দ মানজুরুল হক মর্তুজা আহসান (১৩,৮৯১), পাথরঘাটা উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোস্তফা গোলাম কবির (৩১,৪৮১) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. আলমগীর হোসেন (১১,৬৯০)।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় বিজয়ী জাতীয় পার্টির (জেপি) আবু সাঈদ মিয়া মনু (১১,৪০৬) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাজী রুহিয়া বেগম হাসি (৮,৪২২), ইন্দুরকানী উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের এম মতিউর রহমান (১০,২০১) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী ফায়জুল তবির তালুকদার (৬,৫৯৩), নাজিরপুর উপজেলায় বিজয়ী আওয়ামী লীগের অমূল্য রঞ্জন হালদার (২১,৯০০) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দীপ্তিস চন্দ্র হালদার (১২৬১১)।