চবিতে সংঘর্ষের পর রাতে ২০ নেতা-কর্মী আটক

cuu-samakal-সমকাল-5e29085b2f382

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর হলে তল্লাশি চালিয়ে ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকদের নাম এখনও জানা যায়নি।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় সোহরাওয়ার্দী হল থেকে এক কেস কাচের বোতল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে বুধবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় এবং সিএফসি। এ ঘটনায় খেলার মাঠেই সিএফসি কর্মী শামীম আজাদকে মারধর করে বিজয়ের কর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয়ের তিন কর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে সিএফসি কর্মীরা। দুটি পক্ষই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী  মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। এ ঘটনার পর রাতেই ছাত্রলীগ সভাপতি রোজাউল হক রুবেলের বহিষ্কার ও জড়িতদের আটকের দাবিতে ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দেয় বিজয় পক্ষ। হল থেকে ২০ জনকে আটক করা হলেও ক্যাম্পাসে অবরোধ থাকবে বলে সমকালকে বলেন বিজয় পক্ষের নেতা মো. ইলিয়াস।

মো. ইলিয়াস বলেন, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হকের রুবেলের নির্দেশে জামাত শিবিরের স্টাইলে সোহরাওয়ার্দী হলে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করে সিএফসি। তাই ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার ও আটক না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবরোধ চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে প্রক্টরের গাড়ি ভেঙেছে, পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে, অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই হলে তল্লাশি চালিয়ে দুই হল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Pin It