চাঁপাইনবাবগঞ্জে একবছর পর আবারও ঢাকার উদ্যোশ্যে যাত্রা করল ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন। স্বল্প ভাড়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য দুই জোড়া ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। খামারী তথা পশু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাহিদা পাওয়ায় ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনটি আজ শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে প্রান্তিক খামারীদের উৎসাহ দিতে এবং কোরবানির পশু সহজে ভোক্তাদের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে পশু পরিবহনে বিশেষ এ ট্রেন চালু করা হয়েছে। প্রথম যাত্রায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ২নং প্লাটফর্মে দুপুর আড়াইটা থেকে ৪টি ওয়াগনে গরু ওঠানো শুরু করা হয়।
এ সময় রেল স্টেশনে খামারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন শিমুল, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে মোট ৭৭টি গরু নিয়ে স্পেশাল ট্রেনটি আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার উদ্যোশ্যে যাত্রা শুরু করে।
সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের গরু খামারী আব্দুল হালিম জানান, ট্রেনের ব্রডগেজের দুটি ওয়াগনে ৪০টি করে গরু নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গরুর জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৫৯১ টাকা। এতে করে টাকা সাশ্রয়ী হয়েছে। এ মুহূর্তে মহাসড়কে যে পরিমাণ যানজট তাতে ট্রাকে বহন করে যথাসময়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
সহজ বাহন হিসেবে ট্রেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় খামারীরা লাভবান হয়েছে। টিকরামপুরের আরেক ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম জানান, ক্যাটেল ট্রেনে গরু পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ২টি ওয়াগনে ২ জনের ২০টি গরু সরাসরি ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছে। বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। ট্রাকের চাইতে ট্রেনে গরু নিয়ে যাওয়া অনেক সুবিধা। তাছাড়া খরচও অনেক কম পড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ জানান, ক্যাটেল ট্রেনে গরু পাঠানোর জন্য ব্যবসায়ীদের আরো আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন খামারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। তারা এতে সাড়া দেয়ায় ৪ জন খামারী ও ব্যবসায়ীর ৭৭টি গরু এ ট্রেনে গেছে। প্রতিটি গরু বহনে ৫৯১ টাকা।