অর্থবিত্তে রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ঢাকায় গড়েছেন বিপুল সম্পদ। রীতিমতো জমি, মার্কেট ও বাড়ির ছড়াছড়ি। তার এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য অর্ধশত কোটি টাকা। গত ১৪ বছরে অর্থাৎ ২০০৮ সালে এমপি হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে তার এই অস্বাভাবিক উত্থান। যদিও আয়কর ফাঁকি দিতে এসব সম্পদের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কম দেখানো হয়েছে-এমন অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর।
তাদের মতে, ওদুদ বিশ্বাস সচ্ছল পরিবার থেকে এলেও এমপি হওয়ার পর তিনি অবিশ্বাস্য পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা স্বাভাবিক নিয়মে অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। আয়কর ফাইল ও হলফনামায় তিনি নিজের পেশা ‘ব্যবসা’ উল্লেখ করেন। তবে কি ব্যবসা করেন তা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কেউ জানেন না।
আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা কৃষক দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। ২০০৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ওদুদ বিশ্বাস এমপি নির্বাচিত হন। দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ-ওদুদ বিশ্বাস বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসে এমপি হলেও কখনো দলীয় চেতনা ধারণ ও লালন-পালন করেননি। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কখনোই তার সহযোগিতা পাননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি যে পরিমাণ সম্পদের বিবরণ দিয়েছিলেন, গত ১৪ বছরে তার সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫০ গুণ। কৃষি ও অকৃষি জমি থেকে শুরু করে বাড়ি, ভবন, মার্কেটসহ বিপুল সম্পদ গড়েছেন, যার বৈধ উৎস বলতে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। এলাকার মানুষের অভিযোগ-দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে মামলার ফাঁদে ফেলে টাকা কামাতে ওদুদ বিশ্বাসের জুড়ি নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শুধু টাকার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ ডজন ডজন নাশকতা মামলার আসামিদের দলে ভিড়িয়েছেন। দিয়েছেন পদ-পদবি। সেখানে কে আওয়ামী লীগ, বিএনপি অথবা জামায়াতের-তা পৃথকভাবে চিহ্নিত করাও কঠিন। ওদুদ বিশ্বাস বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও জানা গেছে, এমপি হওয়ার আগেও ওদুদ বিশ্বাস যেমন ‘ভিলেজ পলিটিক্স’র মাস্টার ছিলেন, এমপি হওয়ার পরও তা অব্যাহত আছে। এটিই তার টাকা কামানোর মূল অস্ত্র। ভিলেজ পলিটিক্সের অংশ হিসাবে তিনি যেসব কর্মকাণ্ড করেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-গ্রামে গ্রামে এলাকায় এলাকায় পক্ষ তৈরি করে কোন্দল ও বিরোধ সৃষ্টি, মাদক কারবারিসহ চিহ্নিত অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া, মনোনয়ন ও দলীয় কমিটিতে স্থান দেওয়ার নামে ‘বাণিজ্য’, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য, টোল থেকে কমিশন আদায়, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় এবং মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে বিবাদ জিইয়ে রাখা।
এসব কর্মকাণ্ডে নিজ দলের নেতাকর্মীরা যেমন তার ভয়াবহ শোষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন, তেমনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও তিনি মামলার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কারও কারও কাছ থেকে কোটি টাকার জমি লিখে নেওয়ারও নজির আছে তার। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে চলমান তীব্র কোন্দলের পেছনেও ওদুদ এমপির ‘লম্বা হাত’ বেশ সক্রিয়।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ওদুদ বিশ্বাস যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছিলেন, সেখানে তিনি পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষি জমির পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন নিজের নামে ৩০ বিঘা এবং স্ত্রীর নামে ৬ বিঘা। এসব জমির দাম দেখিয়েছিলেন ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১০ বিঘা অকৃষি জমির মূল্য দেখান ১ লাখ টাকা। যৌথ মালিকানার দুই বিঘা জমির ওপর তৈরি করা বাড়ির অর্ধেক অংশের মূল্য ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে স্থায়ী সম্পদ হিসাবে রাজশাহীর সেনাদিঘি মোড়ে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি তিনতলা বাড়ি এবং নিজ গ্রাম মহারাজপুরে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি দোকানঘর থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ওই সময় কৃষি খাত থেকে বছরে ১ লাখ, দোকান ও বাড়িভাড়া থেকে ৩০ হাজার এবং মৌসুমি ব্যবসা থেকে ৪০ হাজারসহ মোট বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে পূবালী ব্যাংক রাজশাহী শাখায় ১০ লাখ টাকার ঋণ থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে সেই ঋণ আগেই পরিশোধ করেছেন। যদিও ওই সময় বছর শেষে তার নিট সম্পদ ছিল মাত্র ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর বার্ষিক পারিবারিক খরচ ছিল মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় তার হাতে নগদ টাকা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ওদুদ বিশ্বাস ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী জমা দেন। ওই সময় আয়কর বিভাগে দাখিলকৃত ২০২২-২৩ অর্থবছরের আয়কর ফাইলের বিবরণীও সংযুক্ত করেন। এতে দেখা যায়, ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে ওদুদ বিশ্বাসের সম্পদ বেড়েছে ৫০ গুণের বেশি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ঢাকাতে জমি, মার্কেট, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়ির ছড়াছড়ি। অভিযোগ রয়েছে, মূল্যবান এসব জমি, বাড়ি ও ভবনের বাজার মূল্য থেকে অস্বাভাবিক কম মূল্য দেখিয়েছেন নিজের আয়কর ফাইলে যাতে সহজেই কর ফাঁকি দেওয়া যায়।
সরেজমিন ঘুরে পাওয়া গেছে, রাজশাহী নগরীর কোর্ট ঢালান এলাকায় ২২ কাঠা জমির ওপর ওদুদ একটি বিশাল মার্কেট তৈরি করছেন। নগরীর ভেতরে অবস্থিত বর্তমানে এসব জমির প্রতি কাঠার মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। আয়কর ফাইল ও নির্বাচন কমিশনে এ জমির মূল্য দেখিয়েছেন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। যেখানে ২০০৮ সালে মৌসুমি ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৪০ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে তার ব্যবসার মূলধন বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৯ টাকা।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি হওয়ার পর ওই ২২ কাঠা জমির অর্ধেক ১১ কাঠা ক্রয় করেন ওদুদ বিশ্বাস। বাকি ১১ কাঠা কেনেন চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ রানা টিপু। তবে ২২ কাঠার মূল্য বাবদ পুরো টাকাটা পরিশোধ করেন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ রানা টিপু। পরে টিপুকে মামলার ভয় দেখিয়ে বাকি ১১ কাঠাও লিখে নেন ওদুদ। এই ২২ কাঠা জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি।
জানতে চাইলে শহিদ রানা টিপু বলেন, ওই সময় এমপি সাহেব তাকে ভয় দেখিয়েছিলেন বাকি ১১ কাঠা লিখে না দিলে যে কোনো মাদক মামলায় তাকে জড়িয়ে দেবেন। বাধ্য হয়েই তাকে বাকি ১১ কাঠাও দিয়ে দিতে হয়েছিল। এই জমির জন্য এক টাকাও দেননি ওদুদ বিশ্বাস। টিপু আরও বলেন, সীমান্তের বিট-খাটাল থেকে ওদুদ বিশ্বাসকে বিভিন্ন সময় ১০ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না পেলে ডিও লেটার দিয়ে বিট-খাটাল বাতিলের হুমকি দিতেন। বাধ্য হয়ে তারা তাকে টাকা দিয়েছেন।
২০০৮ সালে ওদুদ বিশ্বাস পৈতৃক সূত্রে নিজের নামে ৩০ বিঘা ও স্ত্রীর নামে ৬ বিঘাসহ মোট জমির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৩৬ বিঘা এবং অকৃষি জমির পরিমাণ ছিল ১০ বিঘা। তবে ২০২২ সাল শেষে ওদুদ বিশ্বাসের নিজ নামে জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ বিঘা যার মূল্য দেখিয়েছেন মাত্র ২৫ লাখ টাকা। গত ১৪ বছর পর পৈতৃক ও ক্রয়সূত্রে ওদুদ বিশ্বাসের অকৃষি জমির পরিমাণ ১০ বিঘা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ বিঘা, যার মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৮৯ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে কৃষি খাত থেকে বছরে আয় দেখিয়েছিলেন মাত্র ১ লাখ টাকা। যদিও ২০২৩ সালের শুরুতে তার এই আয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমপি হওয়ার আগে বাড়ি ও দোকান ভাড়া পেতেন ৩০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। মৌসুমি ব্যবসা থেকে আয় ৪০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছে।
এদিকে এমপি হওয়ার আগে তার হাতে নগদ ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এমপি ওদুদের হাতে নগদ টাকা দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী জমার পরিমাণ রয়েছে ১০ লাখ টাকা। এমপি হওয়ার আগে ওদুদ বিশ্বাসের শুধু ছিল ৩০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল। এখন মোটরসাইকেল ছাড়াও একটি ট্রাক, একটি জিপ গাড়ি ও ১টি ট্যাংক লরির মালিক হয়েছেন যদিও এই তিনটি বাহনের মূল্য দেখিয়েছেন মাত্র ৩০ লাখ টাকা। এরমধ্যে এমপি কোটায় আমদানিকৃত দুটি গাড়ি বিক্রি করে ৩ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে ওদুদ বিশ্বাস দাবি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে জমিজমা ও সম্পদ কিনেছেন।
এছাড়া ঢাকা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েক কোটি টাকার একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট এবং অন্যান্য সম্পদ থাকার বিষয়টি সরেজমিন ঘুরে, আয়কর ফাইল বিশ্লেষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওদুদ বিশ্বাস যা বললেন : উল্লিখিত সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ-সদস্য আব্দুল ওদুদ যুগান্তরকে বলেন, আমি যখন প্রথমবার সংসদ-সদস্য হই, তখন আমরা যৌথ পরিবারে বসবাস করতাম। যে কারণে পৈতৃক জমি ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি। আমার বেশিরভাগ জমিই পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। এমপি হওয়ার পর শতাধিক বিঘা জমির মালিক হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আইন অনুযায়ী একশ বিঘার বেশি জমি কেউ নিজ নামে রাখতে পারবেন না। জোতদার হিসাবে একশ বিঘা জমি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জমি বা আমবাগান বিক্রি করে আমি শহরে বাড়ি, ঢাকায় ফ্ল্যাট বা অন্যান্য সম্পত্তি ক্রয় করেছি। ঢাকার পূর্বাচলে এমপি কোটায় পাওয়া প্লট বিক্রি করি। এছাড়া দুবার শুল্কমুক্ত গাড়ি নিয়েছি এমপি কোটায়। এগুলো বিক্রি করে টাকা পেয়েছিলাম। এসব কেন আয়কর ফাইলে দেখাননি-এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে তার দাবি-তিনি জমি, মাছ ও ধান কেনাবেচার ব্যবসা করেন। এছাড়া পেট্রোলপাম্প থেকে এখন আয় বেড়েছে। ঢাকার কল্যাণপুর, পান্থপথ ও খিলগাঁওয়ে তার ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তবে কলাবাগানের ফ্ল্যাটটি তার জামাতার নামে বলে জানান তিনি।
এছাড়া আব্দুল ওদুদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের দুটি বাড়ি এমপি হওয়ার পর করেছি। আসলে শহরে আমার কোনো অফিস ছিল না। তাই এসব করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন রাজশাহী শহরের কোর্ট ঢালানের ২২ কাঠা জমির কিছু অংশ টিপু চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নেওয়া। রেজিস্ট্রি কর কমানোর জন্য জমির মূল্য কম দেখানো হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
এমপি ওদুদ আরও বলেন, বোনের কাছ থেকে ২৫ বিঘা আমবাগান পেয়েছি যার মূল্য ৫ কোটি টাকা। তবে এই জমি কেন আয়কর ফাইলে দেখাননি, তার কোনো জবাব দেননি। বছরে মাত্র ১৮ লাখ টাকার আয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আয়ের হিসাবে কিছুটা গরমিল আছে। সবাই আয়কর ঝামেলা এড়াতে ফাইলে একটু কমবেশি করে দেখায়। আমিও করেছি। বিভিন্নজনকে মামলার ভয় দেখিয়ে ও কলহ-কোন্দল তৈরি করে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, গরুর বিট-খাটাল থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া ছাড়াও স্কুল-কলেজে নিয়োগ দিয়ে টাকা কামানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। প্রতিপক্ষ এসব প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করে।