চা ক্লান্তি দূর করে, আমাদের চাঙা রাখে। চায়ের গুণ অনেক।
এতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস, এটি হাড় শক্ত করে। চা ক্যান্সার প্রতিরোধক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। এছাড়া এটি ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রং চা, দুধ চা, মসলা চা, গ্রিন টি বা হারবাল টিসহ বেশ কয়েক ধরনের চা পছন্দ করি আমরা। কিন্তু প্রতিদিন চা বানানোর পরও অনেকেই নিজের বানানো চায়ের স্বাদ নিয়ে সন্তুষ্ট নই।
যেভাবে তৈরি করলে, এককাপ শেষ হতেই আরেক কাপের অনুরোধ আসবে, জেনে নিন, রেসিপি:
যদি রং চা পছন্দ করেন তবে চায়ে ফুটন্ত পানি ঢালুন তারপর অপেক্ষা করুন আড়াই থেকে তিন মিনিট। এই সময়টুকু দিতে হবে এ কারণে যে— এই সময়ের মধ্যে চায়ের স্বাদটুকু পানিতে মিশে যেতে পারে।
দুধ চা-একটি প্যানে দেড় কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিটের মতো ফুটিয়ে ২ টেবিল চামচের মতো চা পাতা দেবেন। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে এবার এক কাপ ঘন দুধ মিশিয়ে নেবেন। এক মিনিট পর নামিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে শীতের সন্ধ্যায় উপভোগ করুন পারফেক্ট ও মজাদার চা।
মসলা চা পনেরো মিনিট সময় দিলেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন মজাদার এই চা। চারটি লবঙ্গ, দু’টি এলাচ, একটি দারুচিনির টুকরো, তিন কাপ পানি, ১/৪ চা চামচ আদা কুচি, আধা কাপ দুধ, দুই টেবিল চামচ চিনি বা মধু ও দুই টেবিল চামচ চা পাতা নিয়ে নিন।
এবার প্রথমে ব্লেন্ডারে লবঙ্গ, এলাচ এবং দারুচিনি গুঁড়া করে নিন। পাত্রে পানি ও মসলার গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করুন। চুলা থেকে পাত্রটি সরিয়ে ঢেকে রেখে দিন পাঁচ মিনিট। প্যানে গরম দুধ ঢেলে তাপ থেকে সরিয়ে ফেলুন এবং চা দিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন তিন মিনিট। চা নাড়ুন এবং ছেঁকে নিয়ে চায়ের কাপ ঢালুন। তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর মসলা চা।
যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
চায়ের জন্য একটি পাত্র নির্দিষ্ট করে রাখবেন
চিনির বদলে মধু ব্যবহার করলেই চা হবে আরও উপকারী ও সুস্বাদু পানীয়
চা পাতা সব সময় এয়ারবাইট কনটেইনারে রাখুন
কাপে চা ঢালার আগে ফোটানো গরম পানি দিয়ে ভালো করে কাপটি ধুয়ে নেবেন।
তো হয়ে যাক আরেক কাপ চা!