চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নাসরিন সুমি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে গত আট বছর যাবত আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তার সুফল পায়নি।
চাকরিতে প্রবেশে বয়স বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে নাসরিন সুমি বলেন, ২০১২ সালের সরকারি চাকরিতে অবসর বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে সরকারি আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। যার ফলে প্রতি বছর সরকারি চাকরিতে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়নি। এই কারণে শিক্ষার্থীরা দুই বছর পিছিয়ে যায়। তখন সরকারি যুক্তি দিয়েছিল যে এখন গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্নাতক ডিগ্রি ২ বছর থেকে তিন বছর এবং সম্মান ডিগ্রি তিন বছর থেকে চার বছর করা হয়। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সরকারি নীতি অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ৩০ ঊর্ধ্বদের নিয়োগ দেয়া না। সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩.১১ অনুচ্ছেদের অঙ্গীকার করে। কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে গেছে তার কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক অরুনিমা দে, ইমতিয়াজ হোসেন, সঞ্জয় দাস, এমএ আলী বিজিত শিকদার, ফাতিন ইলাহী, বেলাল হোসেন ফয়সাল আহমেদ, কামরুজ্জামান রিন্টু, নাসরিন সুমি, মাজরুক রাসেল প্রমুখ।