করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন আসা-না আসার অনিশ্চয়তার মধ্যেই আক্রান্তদের সারাতে অ্যান্টিবডির আবিষ্কার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সংক্রমণ ঠেকাতে বিগত ১০০ বছরে ধরেই অ্যান্টিবডির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যদিও সবক্ষেত্রে এই পদ্ধতি শতভাগ সাফল্য পায়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সরেন্টো থেরাপিউটকস বলেছে, তাদের তৈরি একটি অ্যান্টিবডি চারদিনেই করোনা সারাতে পারবে।
সরেন্টো থেরাপিউটকস নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলেছে, এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডিটি ১০০ শতাংশ কার্যকর। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই চলে আসবে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. হেনরি জি বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় আছে। একটি সমাধান আছে যা ১০০ শতাংশ কাজ করে। আপনার শরীরে যদি অ্যান্টিবডি থাকে, তাহলে আপনার সামাজিক দূরত্বের দরকারও নেই। কোনো ভয় ছাড়াই লোকজনকে মুক্তভাবে চলতে দেওয়া যাবে।’
সরেন্টো থেরাপিউটকসের সিইও ড. হেনরি জি বলেন, ‘অ্যান্টিবডি মানব কোষে ভাইরাস প্রবেশ করতে দেয় না। তারা যদি কোষে প্রবেশ না করতে পারে, তাহলে বংশবিস্তারও করতে পারে না। এর অর্থ হলো, আমরা যদি ভাইরাস কোষে প্রবেশ করতে না দিই, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেটির মৃত্যু ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষিত ভ্যাকসিন আসার আগে অ্যান্টিবডি থেরাপিই হবে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশসের সাবেক কমিশনার স্কট গটলিয়েব ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক কলামে লিখেছেন, কোভিড-১৯ থেকে এর মধ্যেই যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের রক্ত থেকে চিকিৎসকরা প্লাজমা নিয়ে সংকটপূর্ণ রোগীদের শরীরে দিয়েছেন। রক্তের ওই প্লাজমায় অ্যান্টিবডি ছিল এবং এই পদ্ধতি আশা জাগিয়েছে। সূত্র : ফক্স নিউজ।