চার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজেরও ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিমে তিনটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
গত ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রিমান্ড রবিবার শেষ হয়েছে।
গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নের্তৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য।
পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে এর দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়েছে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজন কর্মীকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার কর্মীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে গত ৯ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম শিবলীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই ভোরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।