খুশকি, রুক্ষতা, শুষ্কতা, অকালপক্কতা ইত্যাদির সমাধান করা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান মেহেদি দিয়ে।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুলের যত্নে মেহেদির নানান ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।
মেহেদির উপকারিতা
মেহেদি মাথার ত্বক ঠাণ্ডা ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটা খুশকি দূর করে। চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই চুল রং করতে সাহায্য করে।
মেহেদির গুঁড়া ব্যবহারের আগে যে কোনো প্রাকৃতিক উপদানের সঙ্গে মিশিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর ব্যবহার করা উচিত।
খুশকি দূর করতে
চার টেবিল-চামচ মেহেদির গুঁড়ার সঙ্গে একটা গোটা লেবুর রস এবং দুই টেবিল-চামচ দই মিশিয়ে ঘন মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সালফেট বিহীন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুল পড়া কমাতে
ছয় টেবিল-চামচ আমলকীর গুঁড়া, তিন টেবিল-চামচ মেহেদির গুঁড়া, দুই টেবিল-চামচ মেথি গুঁড়া একটা পাত্রে ভালো মতো মেশান। এরপর এতে ১০ টেবিল-চামচ পানি, একটা ডিমের সাদা অংশ এবং একটা লেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। প্রয়োজন হলে এতে পানি যোগ করতে পারেন। প্যাকটি তৈরি করে এক ঘন্টা রেখে দিন। এরপর তা সম্পূর্ণ চুলে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
চুল রাঙাতে
এক টেবিল-চামচ কফি পাউডার পানিতে ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত কফি ঠাণ্ডা করে এর তলানি আলাদা করে নিন। একটা পাত্রে পাঁচ টেবিল-চামচ মেহেদির গুঁড়া নিন এবং এতে আস্তে আস্তে গরম কফি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
চুল কয়েকভাগে ভাগ করে এই প্যাক আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। পছন্দের রং পেতে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।