আকাশের চাঁদ ধরার স্বপ্ন অনেকে শৈশব থেকেই বোনে! এটা অবশ্য নিছকই রূপকথার গল্পে উপমা ব্যবহারের মতো। কিন্তু সত্যিই কি আকাশের সেই চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্ন সবসময়ে সত্যি হয়? তবে সেই অধরা স্বপ্নগুলো অনেকেরই পূরণ হয়। তবে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে। তাহলে ঠিক একদিন না একদিন সেই স্বপ্নরা দেখে দিবেই। তার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
তেমনই পরিশ্রমী একজন স্বপ্নবাজ অভিনেত্রী সামিনা বাশার। শৈল্পিক গুণাবলীর সুবাদে শোবিজের ঝলমলে ভুবনে ধীর ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে এ গ্ল্যামার গার্ল। সুন্দরী, শিক্ষিতা আর স্মার্ট মেয়ে সামিনা বাশার। পড়াশোনা করেছেন ভারতের চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে বিবিএ কমপ্লিট করে এসেছেন হাস্যোজ্জ্বল এই তরুণী। তিনি এখন বাংলাদেশি শোবিজের নিউ ট্যালেন্ট গ্ল্যামার গার্ল।
সামিনা ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেন শোবিজে কাজ করবেন। স্বপ্ন পূরণের বাসনা নিয়ে তার নিরন্তর ছুটে চলা। এরইমধ্যে স্বপ্ন পূরণের সুযোগও পেয়েছেন। বি ইউ শুভ পরিচালিত ‘প্রেম ও পরীর গল্প’ নামের একটি নাটকে প্রথম অভিনয় করে শোবিজে আসেন। এরপর বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। কাজে নেমেই সামিনা এরইমধ্যে ৯টি একক নাটক ও ২টি ধারাবাহিক নাটক করেছেন। এখন শুধু সামিনার এগিয়ে যাওয়ার গল্প। এরইমধ্যে তার সৌন্দর্য দিয়ে নজর কেড়েছেন নির্মাতাদের। হাতে এসেছে বেশ কিছু কাজ।
সম্প্রতি শেষ করেছেন নির্মাতা সোহেল তালুকদারের ‘সরল পাত্র চাই’ ও ‘ভ্যাজাইলা গ্রাম’। ‘সরল পাত্র চাই’ সামিনা অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক। এছাড়াও সৌমিত্র ঘোষ ইমন পরিচালিত ‘সার্চ টেলিভিশন’ নামের একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের কাজ শেষ করেছেন। অচিরেই বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি। চলতি মাসেই আরও বেশ কিছু নাটকে কাজ করবেন সামিনা বাশার, আলাপকালে এমনটাই জানান।
চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে চান সুন্দরী তরুণী সামিনা বাশার। ওয়েব সিরিজ কিংবা যে কোন ডিজিটাল প্লাটফর্মের যে কোন মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে চান যদি সেখানে অভিনয়ের সুযোগ থাকে। নায়িকা খ্যাতি নয় একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ছুটে চলছেন তিনি।
সামিনা বাশার বলেন, ‘অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকে। অভিনয়ের জন্য শৈশবেই নাচ শিখি। নাটকে নিয়মিত কাজ করতে চাই। তাছাড়া ওয়েব সিরিজে ভালো চরিত্রে পেলে কাজ করতে অনীহা নেই। বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দায় কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অভিনয়ের মাধ্যমে ছোটপর্দায় নিজেকে গুণী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’