বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন, বিতর্কিতদের নাম-পদবি প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে দ্বিতীয় দিনেও ছাত্রলীগের পদতবঞ্চিতদের আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে।
অনশনে অংশ নিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনন্ত ২৫-৩০জন নেতা। এর মধ্যে শনিবার চার-পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পদবঞ্চিতদের মুখপাত্র ছাত্রলীগের গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। ইতোমধ্যেই চার-পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরও এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বা আওয়ামী লীগের কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তারা না এসে আমাদের প্রতি অবহেলাপূর্ণ আচরণ করছেন। তাই আমরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। যদি প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করতে জীবন দিতে হয়, তবে তাই দিব।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছের লোকজনই বিতর্কিত, এজন্য তাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছের লোকজনও বিতর্কিত, এজন্য তাদেরকেও বাদ দেয়া হচ্ছে না। তারা কিভাবে বাদ দিবেন, তাদের তত্ত্বাবধানেই তো এসব বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।’
শনিবার বিকেলে সরেজমিন রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত অন্তত ২০ জন নেতাকর্মীকে অনশনে বসে থাকতে দেখা গেছে। তারা ইতোমধ্যেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি মানতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন পদবঞ্চিতরা। তবে এই সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কোন দায়িত্বশীল নেতার আশ্বাস না পাওয়ায় ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।