নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পেলে অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
কুর্মিটোলায় সহপাঠিকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যে অনশন করা চার শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙানোর সময় মঙ্গলবার রাতে এ ঘোষণা দেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, যে বা যারা আমাদের ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেছে, সে বা তারা কোনো মানুষ নয়, নরপিশাচ। এই নরপিশাচদের বিচার অর্জন করতে না পারলে আমি নিজেই অনশনে বসব।
পরে জুস খাইয়ে চার শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙান উপাচার্য। এরপর ওই চার শিক্ষার্থী মো. সিফাতুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম রাসেল, মোস্তাফিজুর রহমান নাফিজ এবং মো. আব্দুর রহমানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনাসহ চার দাবিতে ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতুল ইসলাম। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন অন্য তিন শিক্ষার্থী।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা।
উপাচার্যের অনুরোধে অনশন ভাঙলেও ২০ জানুয়ারির মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ না হলে আবারও একই কর্মসূচিতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন অনশনকারী সিফাতুল ইসলাম।