মরণাপন্ন অবস্থার মধ্যেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, তার প্রতি সরকারের অন্যায় আচরণ ও ভোটাধিকার হরণের কারণে জনগণের ধৈর্য-সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, সরকার নিজেদের অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গোটা দেশের ভোটবঞ্চিত মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। তিনি বলেন, সরকারকে ঘৃণা করছে বলেই উপজেলা নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে নীরব প্রতিবাদ করছে। ভোটকেন্দ্রে এখন কেউ আসছে না। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা মাংস-খিচুড়ি খাইয়েও ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে পারছে না।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বর্ণনা দিয়ে রিজভী বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রহসনমূলক বিচারের জন্য কারাগারে ক্যাঙ্গারু আদালতে টেনেহিঁচড়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির করা হচ্ছে। বিএনপি নেত্রীকে চলৎশক্তিহীন করার জন্য তার সুচিকিৎসা করানো হচ্ছে না।
সরকারের উদ্দেশে এ নেতা বলেন, চোখ-কান খোলা রেখে জনগণের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তারা কী চাচ্ছে। তাদের ফুঁসে ওঠার সময় এসেছে। খালেদা জিয়া এখন প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা। তার মুক্তির জন্য আন্দোলনরত জনগণ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে আছে।
তিনি বলেন, যে কোনো সময় জনতার বিস্টেম্ফারণ শুরু হবে, যা কল্পনাও করতে পারছে না এই সরকার। তাই নিজেদের শোধরান। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।