প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ নামে একটি ই-বই প্রকাশ করা হয়েছে।
বইটি সম্পাদনা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনলাইনে ডিজিটাল বইটি সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ। বইটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনী।
‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে’ উৎসর্গ করা হয়েছে ৩৩৬ পৃষ্ঠার এই তথ্য-চিত্রবহুল ঐতিহাসিক বইটি। রয়েছে ১৯টি নিবন্ধ এবং একটি বিশেষ ফটো অ্যালবাম।
অনলাইনে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সাংবাদিক ইয়াসিন কবির জয়।
বইটির সম্পাদক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ সময় ওয়েবিনারে সংযুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে ডাক অধিদপ্তর। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১০ টাকা মূল্যমানের এই স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সহপাঠী হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের তার সহপাঠী হিসেবে নিজের চোখে দেখা শেখ হাসিনার চালচলনকে চিরায়ত বাংলার এক অতিসাধারণের জীবনের সঙ্গে তুলনা করে মোস্তফা জব্বার বলেন, তার জীবন-যাপন ছিলো খুবই সাধারণ। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ৭৫’ ১৫ আগস্ট গোটা পরিবারকেই হারিয়েছেন তিনি। ছোটো বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা। তারপর দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার পর শুরু করেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। চলার পথ কখনওই সহজ ছিলো না তার।
সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বজন হারানোর শোক বুকে চেপে আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্রের পথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, টেলিকম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহাদৎ হোসেন ও কামরুজ্জামান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ, টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল এসময় সংযুক্ত ছিলেন।
ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করা ছাড়াও ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রয় করা হবে। পরবর্তীতে অন্য জিপিও বা প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রয় হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিল মোহরের ব্যবস্থা আছে।