আগামী দিনগুলোতে মানুষের সৃজনশীল কাজে ভালোভাবেই সহযোগিতা করবে যান্ত্রিক ব্যবস্থা। তার নমুনা পাওয়া গেল আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভ্যানে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআইটি) ২০১৯ আয়োজনের প্রাক–উদ্বোধনী কনসার্টে।
কনসার্টের সংগীতায়োজন তাৎক্ষণিকভাবে করা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে। আজ সোমবার থেকে ইয়েরেভ্যানে শুরু হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম বড় এই সম্মেলন। চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
গতকাল রোববার রাত আটটা। ইয়েরেভ্যানের কেন্দ্রে রিপাবলিক স্কয়ারে শুরু হওয়ার কথা ডব্লিউসিআইটির উদ্বোধনী কনসার্টের। তখনো শুরু হয়নি, কিন্তু কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম পুরো রিপাবলিক স্কয়ার।
ওদিকে মঞ্চে চোখ ঝলসানো আলো। লেজার রশ্মির নানা খেলা। কনসার্ট শুরু হয় অর্কেস্ট্রার পরিবেশনায়।
এই সম্মেলন উপলক্ষে নতুন একটা অর্কেস্ট্রা দলই বানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত যতগুলো দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল, তার সব দেশের একটি করে গানের সুর শোনানো হয় নানা রকম যন্ত্রপাতির মাধ্যমে।
ব্রাজিলের ‘লা লা ব্রাজিল’ থেকে ভারতের ‘আই অ্যাম এ ডিসকো ডান্সার’ পর্যন্ত মোহিত হয়ে শোনে হাজার হাজার দর্শক। শেষ হয় আর্মেনিয়ার গানের সুর দিয়ে।
আর এই প্রথম তাৎক্ষণিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি করে সুর। সেই সুরের সঙ্গে অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করেন সের্গেই সামবাতিয়ান।
অর্কেস্ট্রার পর ছিল আরও বড় আকর্ষণ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডিজে আরমিন ভ্যান বুরেন। তাঁর রয়েছে দুনিয়াজুড়ে ৪ কোটি ভক্ত। আরমিনের পরিবেশনায় উৎসবের মুখরতা ছড়িয়ে পরে রিপাবলিক স্কয়ারে। রাত ১১টায় আতশবাজির মাধ্যমে শেষ হয় ডব্লিউসিআইটি ২০১৯-এর এই প্রাক–উদ্বোধনী পর্ব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা)। আজ সকালে এবারের ডব্লিউসিআইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এবারের আয়োজনে অর্ধ শতাধিক দেশ অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) বাংলাদেশে উইটসার সদস্য। বাংলাদেশে থেকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি সরকারি এবং ৩৩ সদস্যের একটি বেসরকারি প্রতিনিধিদল চার দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।