জলবায়ু: প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর তাগাদা

hasina-climate-un-121220-01

পাঁচ বছরেও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছিও পৌঁছাতে না পারার কথা তুলে ধরে উন্নত বিশ্বের প্রতি জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় অর্থায়নের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার ‘ভার্চুয়াল সামিট অন ফাইভ ইয়ার অ্যানিভার্সারি অব দ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “আজ আমরা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির পঞ্চমবার্ষিকী উদযাপন করছি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এই চুক্তির অধীনে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর কাছাকাছিও আমরা পৌঁছাতে পারিনি। বাস্তবতা হল, আমরা বসে থাকলেই জলবায়ু পরিবর্তন বিরতি দেবে না বা তার বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের রেহাই দেবে না।

“অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও অভিযোজন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, অভিযোজনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।”

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে সিভিএফ ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ চালুর কথা তুলে ধরে প্রতিটি দেশকে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে বর্ধিত প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি ১৫ লাখ চারা রোপণ করছি এবং সুরক্ষিত টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সম্পদের যোগান দিতে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছি।

“আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অভিযোজন উচ্চাভিলাষ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে, আমরা প্রশমন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহন খাত ছাড়াও আরও কয়েকটি সম্ভাব্য খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “প্রতি বছর আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি ডলার ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য ৩০০ কোটি তিন ডলার ব্যয় করছি।”

Pin It