এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও জয়ী হয় চীন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য তিন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন জয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দেশের প্রার্থী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচন হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে বাসস জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য আইসিএসসি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
আইসিএসসি হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা, যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত।
নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে ২.০ নির্বাচিত করেছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।”
জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দীন নোমান
এ কমিটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য বাধ্যতামূলক প্রধান সংস্থা।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি পেশাদার কূটনীতিক মুহিত আগামী ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন, যিনি ২০২২ সালের জুন থেকে ওই দায়িত্বে ছিলেন।
তার জায়গায় যোগ দেবেন নেপালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা সালহউদ্দীন নোমান চৌধুরী।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমানে ইউএনজিএ এর দ্বিতীয় কমিটির (অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটি) চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।