জাপানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের চন্দ্রমিশন

image-158751-1592251976

করোনা সংকটের মধ্যেই জাপান এবং ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন—জাপানকে সঙ্গে নিয়ে ২০২৩ সালে আবারও চন্দ্রাভিযান চালাবে ভারত। জাপানও এর আগে কখনো চন্দ্রাভিযান চালায়নি। এ কারণে দুই দেশের জন্যই এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রাভিযানে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (আইএসআরও) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাপান এয়ারস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ)। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন’। এই জুনে পুরো অভিযানে কাজের অংশ চূড়ান্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে দুই দেশ। দুই দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অবতরণ পরিচালনা এবং রোভার তৈরি করবে জাপান। ল্যান্ডার সিস্টেম বানাবে আইএসআরও।

জাপানের মিত্সুবিশির তৈরি করা এইচ-৩ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দেবে ভারত-জাপানের যৌথ প্রকল্পের ল্যান্ডার ও রোভার। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হয়নি এইচ-৩ রকেটের। এই H3 রকেটের ওজন ৫ লাখ ৭৪ হাজার কেজি এবং ব্যাস ৫.২৭ মিটার। মিত্সুবিশির তৈরি এই রকেট একবার উেক্ষপণে খরচ ৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২০ সালেই এর প্রথম পরীক্ষা করা হবে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। অরবিটার পাঠালেও এর আগে চাঁদে কোনো মহাকাশযান নামায়নি জাপান। চলতি বছরে প্রথম বার কোনো ল্যান্ডার চাঁদে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে টোকিওর। ল্যান্ডারের নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা সংক্ষেপে ‘স্লিম’। জাপানি এই ল্যান্ডার চাঁদের ছবি তুলতে তুলতে নামবে। জানা গেছে, মোবাইল ফোন ক্যামেরাতে যেমন ফেস রেকগনিশন ব্যবস্থা থাকে, তারই উন্নততর সংস্করণ থাকবে ‘স্লিম’ ল্যান্ডারে। এর সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু বা নিচু অংশ অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারা যাবে এবং সঠিক অবতরণ সম্ভব হবে।

জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘স্লিম’ ল্যান্ডারের অবতরণ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন’ এর জন্য ল্যান্ডার তৈরি করবে ভারত। চন্দ্রযান-২ এর ‘বিক্রম ল্যান্ডার’ নিচে নামতে নামতে চাঁদের ছবি তুলে উপযুক্ত অবতরণ স্থল ঠিক করার কথা ছিল। কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরেই বিক্রময়ের সঙ্গে ISRO-র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি জাপানি প্রযুক্তির ল্যান্ডারে আগামীতে সফলভাবে চন্দ্রাভিযান করতে চায় আইএসআরও। অবতরণ সফল হলে চন্দ্রপৃষ্ঠে দুই মিটার পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে অনুসন্ধান চালাবে রোভার। এছাড়া চাঁদের পিঠে ঘুরে ঘুরে পানির অস্তিত্বও সন্ধান করবে রোভার। রোভারের প্রধান ক্যামেরায় ওঠা ছবির মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে গবেষণা চালাবেন বিজ্ঞানীরা।—টাইমস অব ইন্ডিয়া

Pin It