জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

image-393080-1613237083

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টার দিকে ৭.৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

আবারও ভূমিকম্প (আফটার শক) হতে পারে এ আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়ে তীব্র শীতের মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।খবর এনএইচকের।

এ পর্যন্ত ৫০ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তবে, সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ভূমিকম্পে ফুকুশিমার পারমানবিক বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হলে সাড়ে ৯ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

জাপানে গত ১০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।শনিবার রাত ১১টা ৭ মিনিটের দিকে দেশটির ফুকুশিমা ও মিয়াগি প্রিফেচার ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।

ঘরবাড়ি থেকে আতঙ্কে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে।এ সময় বিভিন্নস্থানে দেয়াল চাপা পড়ে এবং ঘর ভেঙে ১৪ জন আহত হন।এখন পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ফুকুশিমায় তাদের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন ক্ষতি হয়নি।

জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় ক্ষতি হয়। এই ঘটনার পর বিদুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ শুরু হয় এবং পারমাণবিক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়, দুর্ঘটনার ফলে চুল্লীগুলি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে স্থায়ীভাবে সেগুলি থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ছিল না।

চুল্লীর শীতলিকরণ ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে, ফলে তেজস্ক্রিয়তা তীব্রতার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকায়।

২০১১ সালের ২০ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারিদিকে ২০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে, শুধুমাত্র সরকারি তত্ত্বাবধানের আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোকজন প্রবেশ করতে পারে।

জাপানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রেস্থলে এর মাত্রা প্রথমে ছিল ৭.১, পরে তা ৭.৩ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে।

Pin It