প্রথমার্ধে পাঁচ গোল হজম করা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধেও পারেনি বাঁধ দিতে। পরে আরও চার গোল খেয়ে মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে জাপানের বিপক্ষে উড়ে গেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
থাইল্যান্ডের চোনবুরিতে বুধবার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল তারা। আগের ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিলেন মনিকা-আঁখিরা।
বাংলাদেশের জালে গোলবন্যার শুরু দ্বিতীয় মিনিটে। মানাকার শট দূরের পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয়। চার মিনিট পর সতীর্থের ছোট পাস ধরে মাইকা হামানোর নিচু শট দূরের পোস্টে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
তৃতীয় গোলটি বাংলাদেশ হজম করে ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের হাস্যকর ভুলে। দুর্বল পাসে মোয়ে ওতার পায়ে বল তুলে দেন আঁখি। সহজেই ডিফেন্সের ফাঁক গলে বেরিয়ে বাঁ পায়ের শটে রুপনা চাকমার মাথার পর দিয়ে বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন জাপানের এই মিডফিল্ডার।
২১তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে গোলমুখ থেকে প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন মাইকা। আঁখি-নাজমারা কিছুই করতে পারেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোমোকোর শট ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়া রুপনার হাতে লেগে বল জালে জড়ালে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
একপেশে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণ জমাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই অর্ধের শুরুতে হজম করে বসে আরেকটি গোল। ৫৯তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে ও পরের মিনিটে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত শটে রিরিকা তান্নো লক্ষ্যভেদ করলে স্কোরলাইন হয় ৮-০! পরে আরও এক গোল হজম করে বাংলাদেশ।
এ প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে জাপানের কাছে টানা দ্বিতীয়বার হারল বাংলাদেশ। গতবার গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া দলটি জাপানের কাছে হেরেছিল ৩-০ গোলে।
এবারের মতো গতবারও ৯ গোল হজমের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল মেয়েদের। গতবার উত্তর কোরিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বে ৯-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।