অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি হবে শিগগিরই। আজ রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে যে স্বীকৃতি ছিল, সেটা বাতিল হয়ে গেছে হাইকোর্টের রায়ে। এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিকভাবে বলেছেন, বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে তো কোনো নির্বাহী আদেশ দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করব, এটা তাড়াতাড়ি শুনানি করার জন্য।’
আইনজীবী আবদুর রাজ্জাকের জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটা তো আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল বলেই দিয়েছেন। তাঁরা ক্ষমা চান বা না চান, তাতে কিছু আসে-যায় না। যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে, ভবিষ্যতেও চলবে। আর এই মুহূর্তে তাঁরা তো মাফ না চাইলে অবস্থা দিনের পর দিন আরও খারাপ হবে। এটা হয়তো তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।’
জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য কী? ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। যদি তার (রাজনৈতিক দলের) লাইসেন্সই না থাকে, তাহলে সে কীভাবে নির্বাচন করবে? আর যারা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি করতে চায়, সেগুলো তো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি। সেসব রাজনীতি তো আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ একসেপ্ট করে না। তাদের সেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিতে রাষ্ট্রেরও বাধ্যবাধকতা নেই। কাজেই বাস্তবতা হলো, রাজনীতি করতে হলে ইলেকশন কমিশন থেকে একটি অনুমতি থাকতে হবে, লাইসেন্স থাকতে হবে। সেই লাইসেন্সটাই বাতিলের জন্য মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আমরা আশা করি, শিগগিরই এটার শুনানির ব্যবস্থা নিতে পারব। নিবন্ধন যদি বাতিল হয়ে যায়, আপনা-আপনি দল বাতিল হয়ে যাবে, তারা রাজনীতি আর করতে পারবে না।’
জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘হিটলার তো নেই। কিন্তু হিটলারের ভাবাদর্শ নিয়ে যদি কোনো রাজনীতি শুরু হয়, সেটা বুঝতে কি জার্মান পিপলদের অসুবিধা হবে? জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রেও একইভাবে বলব, কেউ যদি জামায়াতি ভাবধারায় রাজনীতি শুরু করতে চায়, সেটা কি সাধারণ জনগণ বুঝবে না ?’