পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল বলেছেন, আইনগতভাবে তার জামিন পাওয়ার অধিকার থাকলেও পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের হস্তক্ষেপে বিচারক তার এবং তার স্ত্রীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছিলেন।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দুদক শ ম রেজাউল করিমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দাবি করে আউয়াল বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবগুলোই ভিত্তিহীন।
এদিকে, প্রথমে এ কে এম এ আউয়াল দম্পত্তিকে জামিন না দেওয়ার আদেশের পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালত চত্বর, জেলা শহরে বিক্ষোভ, রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ, টায়ার জ্বালানো, ছাত্রলীগ নেতার অফিস ভাংচুর, হরতালের শ্লোগান দিয়ে শহরের দোকাটপাট বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী বা তার সমর্থকরা জড়িত নন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন এ কে এম এ আউয়াল।
মঙ্গলবার এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে দুপুর ১২ টার দিকে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ওই আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। এর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ওই বিচারককে বদলি করে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরে বিকেলে এ কে এম এ আউয়ালের আইনজীবীরা তাদের জামিনের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন তা মঞ্জুর করে বিকেল ৪টার দিকে তাদের জামিন দেন।