ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২২ জনে পৌঁছেছে। শুক্রবার পর্যন্ত কেবল জার্মানিতেই মারা গেছেন শতাধিক জন। এ ছাড়া বেলজিয়ামেও বন্যায় মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা রয়েছে। সেখানে অন্তত ২২ জন মারা গেছেন; নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
নিখোঁজদের সন্ধানে জোর অভিযান অব্যহত রেখেছেন উদ্ধারকর্মীরা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানির রাইনল্যান্ড-পেলাটিনেইট অঙ্গরাজ্য। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া অঙ্গরাজ্যও। সেখানে ১ হাজার ৩০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যার কারণে অনেক স্থানে সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এ কারণে উদ্ধার অভিযানও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আল জাজিরা জানায়, জার্মান চেন্সেলর অঙ্গেলা মরকেল বর্তমানে ওয়াশিংটন সফর করছেন। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘এ দুর্যোগে যারা নিজেদের জীবন দিয়েছেন, আমি তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আসল সংখ্যাটি জানি না। এটা অনেক হতে পারে।’
জার্মানিতে যেসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে স্কুল্ড অন্যতম। সেখানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। বহু লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা কার্ল-হেঞ্জ গ্রিম জানান, তিনি কখনোই এভাবে এএইচআর নদীতে পানি বাড়তে দেখেননি। এএইচআর রাইনের একটি শাখা নদী।
উদ্ধার অভিযান চালাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। বহু মানুষকে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার সেনা সদস্য। রাইনল্যান্ড-পেলাটিনেইট অঙ্গরাজ্য অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মালু ড্রেয়ার বলেন, ‘আমরা আগে কখনো এমন দুর্যোগ দেখিনি। এটা খুবই ধ্বংসাত্মক।’