কানাডায় সোমবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ি হয়ে আবরো ক্ষমতায় আসছেন জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। এ বিজয়ের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ট্রুডো। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এই বিজয় আপনার বৈশ্বিক নেতৃত্বের সত্যিকারের স্বীকৃতি। বাংলাদেশ সবসময়ই কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। আমাদের দু’দেশের মধ্যে বন্ধুবৎসল যে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা সামনের বছরগুলোতে আরও জোরদার হবে বলে আমি নিশ্চিত।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বাবা কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়ের এলিয়ট ট্রুডোর অমূল্য অবদানকে বাংলাদেশের জনগণ গভীরভাবে স্মরণ করে। তখন থেকে আমাদের জনগণকে সার্বজনীন উদারনৈতিক আদর্শ এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ রেখে চলছি। আপনি ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমাদের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় সক্রিয় এবং অব্যাহত সহযোগিতার জন্যও আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
জয়ের পর মন্ট্রিলে এক বক্তৃতায় ট্রুডো বলেন, আজকের রাতে কানাডার জনগণ বিভক্তি ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা কাটছাঁট ও কৃচ্ছ্রতাকে বাতিল করেছেন। অন্যদিকে তারা অগ্রগতিশীল এজেন্ডাকে সমর্থন করেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জোরালো পদক্ষেপ দেখতে চান। আমরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।
এবারের নির্বাচনকে জাস্টিন ট্রুডোর জন্য গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে ক্ষমতায় ফিরলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় পার্লামেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে ট্রুডোর। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন পাশ করতে অন্য দলগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে তাকে।
বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকারে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো। প্রায় ৪ কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় নিজের উদার অভিবাসননীতি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। জলবায়ু ইস্যুতেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগে কিছু বর্ণবাদী ছবির জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো।