দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তার ভুলের কারণেই জাহালমকে আসামি না হয়েও কারাভোগ করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দাখিল করা দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
এদিন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করে দুদক। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আর ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত মামলার ভুল আসামি জাহালমের কারাবাসের ঘটনায় কে বা কারা দায়ী তা খতিয়ে দেখতে গত ১৭ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল হাসনাত মো. আব্দুল ওয়াদুদের প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় টাঙ্গাইলের পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা করে দুদক। পরে ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যের অপরাধে তিন বছর ধরে জেল থাকা জাহালমকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে গত ৩ ফেব্রয়ারি সব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের কয়েক ঘণ্টা পরই গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।