জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো

image-93656-1570030217

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতাই ছিলেন না, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর মতো দয়ালু, এতো হৃদয়বান নেতা বিরল। অথচ একসময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আমরা বাজাতে পারতাম না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো।’

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। এই মহান নেতার কর্মী হিসেবে আমরা যেন কলুষিত না হই, আমরা যেন কলঙ্কমুক্ত থাকি সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় কাউন্সিলে কেবল সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়। এরকম হলে অনেক ধান্দাবাজি হয়। এগুলোকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক নয়। তাই একসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা উচিত। অপূর্ণাঙ্গ কমিটি করে রাখা ঠিক না। এছাড়া নির্ধারিত সময়েও যেনো কমিটি গঠন করা হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’

বুধবার সিলেটে কাজী কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন পরামর্শ দেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে শেষ দিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে।’ তিনি সিলেটের যে সব ইউনিয়নে কমিটি নেই সেগুলো অক্টোবরের মধ্যে করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘পরবর্তীতে উপজেলাগুলোর সম্মেলন করে জেলার সম্মেলন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালে সিলেটে এসে শুনে গিয়েছিলাম যে কয়টি কমিটি আছে ২০১৯ সালেও এসে শুনি সেগুলোই আছে। নতুন করে কোন ইউনিটের কমিটি করা হয়নি। এটা অবশ্যই ব্যর্থতার পরিচয়। দায়িত্বশীলদের উচিত ছিল এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা।’

হানিফ বলেন, ‘সিলেটে যে কয়বার সভা করতে আসি, শুনি আপনরা ঐক্যবদ্ধ হবেন। কিন্তু আজও আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন নি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন সাবেক এমপি সাধারণ স¤পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।

Pin It