জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে দেশব্যাপী সকল পুলিশ ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯’। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে শুক্রবার এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯’ উদ্বোধন করেন। পরে একে একে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
২০১৮ সালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও জনগণের জানমাল রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় ১৫৮ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অনুষ্ঠানের সভাপতি আইজিপিকে তাদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তিরকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতার চেতনা যে বাহিনীর হৃদয়ে, সে পুলিশ বাহিনী গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হবে; ভূমিকা রাখবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাদের প্রতি সম্মান জানান।