যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে আগামী ৭ জুন পদত্যাগ করছেন। ব্রেক্সিট প্রশ্নে এমপিদের একজোট করতে ব্যর্থ মে কান্না ভেজা চোখে কনজারভেটিভ পার্টি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে মে বলেন, “এমপিদের বোঝাতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। দুঃখজনক হলো, আমি তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
“যুক্তরাজ্যের স্বার্থে এই বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা এখন আমার কাছে স্পষ্ট।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে তাড়াহুড়া থাকায় কনজারভেটিভ পার্টি এ সপ্তাহেই নতুন নেতা নির্বাচনের কাজ শুরু করতে পারে।
এ বিষয়ে মে বলেন, “নতুন নেতা নির্বাচনের কাজ এ সপ্তাহেই শুরু হবে। আমি এ বিষয়ে দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একমত।
“জানি, কনজারভেটিভ পার্টি নিজেই নিজেকে নবায়ন করতে পারে এবং আমরা একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতেও উপনীত হতে পারবো।
“একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হয়ে আমি খুবই অনুতপ্ত। আশা করি আমার উত্তরসূরি একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। যদি উভয় পক্ষই ছাড়া দিতে রাজি হয় তবেই কেবল এই ঐকমত্য সম্ভব।”
মের পদত্যাগের ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কে হচ্ছেন তার উত্তরসূরি।
এরই মধ্যে কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে কনজারভেটিভ নেতা পিটার বোন বলেন, ‘সম্পর্কোচ্ছেদের পক্ষের কেউ’ পরবর্তী নেতা হবেন।
“তিনি হতে পারেন এস্টার ম্যাকভি, ডমিনিক রাব, ডেভিড ডেভিস বা বরিস জনসন।
“এছাড়া আমাদের এমন একজনকে প্রয়োজন যিনি বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে চলতে পারবেন এবং যিনি পরবর্তী নির্বাচনে জিতবেন। আমার মনে হয় সঠিক ব্যক্তি বরিস জনসন।”
মে পদত্যাগ করে ‘সঠিক কাজ’ করেছেন বলে টুইট করেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।