বহুদিনের অভিনয় ক্যারিয়ার ওপার বাংলার অন্যতম আবেদনময়ী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার পরিচালনায় নেমেছেন তিনি। নির্মাণ করছেন ‘বেটার হাফ’ নামে একটি সিনেমা। মনের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে লালিত একটি জেদ থেকেই পরিচালনায় নেমেছেন শ্রীলেখা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইঙ্গিতই দিলেন।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘ভাগ্য ভালো, অভিনেত্রী হিসেবে সফল হয়েও টলিউডে তত বেশি কাজ করিনি আমি। সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাকে। আর টাকা? চাইলে তো আমি মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু করিনি একটাই কারণে। নিজের সমস্ত শক্তি, সময় খরচ করে ফেলব না বলে। মোটামুটি সচ্ছল জীবন চাই। অতিরিক্ত কিছুর আশা করি না আমি।’
শ্রীলেখা জানান, কম কাজ করেছেন বলেই অবসরে তিনি পড়াশোনা করতে পেরেছেন। ভালো ভালো ছবি দেখতে পেরেছেন, ভাবতে পেরেছেন। একটা জেদ ছিল তার মনে। তিনি জানতেন, তার প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু তাকে সবসময় দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন আশপাশের কিছু মানুষ। নিজের পরিচালিত সিনেমার মাধ্যমে সেই কথা বলতে পেরেছেন বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখার ছবি ‘বেটার হাফ’ নামের মাধ্যমে যেমন ধরা দিয়েছে একাধিক অর্থ, তেমনই ভাবে এর গল্পে রয়েছে সমাজ ও সম্পর্কের একাধিক আঙ্গিক। অভিনেত্রীর আশপাশের বিভিন্ন সম্পর্ক নিয়েই গল্পটি তৈরি হয়েছে। ‘বেটার হাফ’ শব্দটির অর্থ জীবনসঙ্গী। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কখনও কখনও যে কত তঞ্চকতা লুকিয়ে থাকে, তা বুঝেও না বুঝে থাকতে হয়।
শ্রীলেখা জানান, ‘আমি জানি, এই দুটি মানুষের সম্পর্কে আর কিছু বাকি নেই। কিন্তু তাও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি দেন, তা আশ্চর্যজনক!’
এছাড়া আরও একটি উদাহরণ দেন শ্রীলেখা। এরকম একাধিক দম্পতিকে তিনি চেনেন, যারা নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বড়াই করে। অথচ মহিলার স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রয়েছে শ্রীলেখার। অথবা স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে দামি গয়না নিতে ভোলেন না। সেখানেই বোঝা যায় ‘বেটার হাফ’-এর সঙ্গে সম্পর্কটা আসলে তিক্ত।
এই কারণেই নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বেটার হাফ’। সেই সমস্ত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকেই শ্রীলেখা তুলে এনেছেন কলমে। তাকেই এবার সেলুলয়েডে আনার প্রস্তুতি চলছে।