প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,অর্থনীতির চাকা সচল করতে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে জেলা ভিত্তিক কিছু ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
তিনি জানান, ঈদের আগে মানুষকে কেনাকাটার সুযোগ করে দেয়া হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার বেলা ১১টায় গণভবনে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় দুই হাজার ডাক্তার ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের ট্রেনিং দিচ্ছি। যেন এটা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলের দ্বিতীয় অংশটা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় জেলায় যেন করোনা চিকিৎসা হতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
‘তবে সবাইকে বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। সেখান থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে ও মৃত্যুও ঘটতে পারে। তরুণদের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারিতে বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও থমকে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘ঈদের আগে সুরক্ষা মেনে কেনাকাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে ক্ষুদ্র শিল্প, হাটবাজার চালু করা হচ্ছে। ঈদের আগে কেনাকাটা করার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে সুরক্ষা ও মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোজার মাস উপলক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে সবাইকে নিজেকে ও অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘রোজার মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে, তার জন্য দোকানপাট খোলা, বাজার–হাট চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প চালানো যাবে। অর্থনীতির চাকা যাতে গতিশীল থাকে, সেখানে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে, সেগুলো যেন পরিচালিত হতে পারে।
এ ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। সরকারি অফিস–আদালত সব সীমিত করে চালু করে দিচ্ছি। সামনে ঈদ, তাঁর আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার, সেগুলোও যেন মানুষ করতে পারে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, সেখানে জনসমাগম থেকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।’