নির্ধারিত সময়ে জালের দেখা পেল না কেউই। ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। তাতে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
পোর্তো আলেগ্রেতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে শেষ আটের ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২০১১ ও ২০১৫ আসরে এই প্যারাগুয়ের কাছেই কোয়ার্টার-ফাইনালে হেরেছিল ব্রাজিলের। ম্যাচের আগে টাইব্রেকারের অনিশ্চয়তা নিয়ে ভীতির কথা জানিয়েছিলেন কোচ তিতে। প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল ভালোভাবে। এবার টাইব্রেকারেই জিতে প্রতিশোধ নিল টুর্নামেন্টের আটবারের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর জালে গোল উৎসব করা ব্রাজিলকে এদিন স্বরূপে দেখা যায়নি। ভুল পাস আর আক্রমণের শেষ মুহূর্তে বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর সঙ্গে শেষ দিকে যোগ হয় গোলের সুযোগ হারানোর মহড়া। দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় প্রতিপক্ষ শিবিরে এক জন কম থাকার পরও গোল পায়নি দলটি।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে একচেটিয়া বল দখলে রেখে আক্রমণাত্মক খেলে ব্রাজিল। তবে শুরুর ছন্দ প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ধরে রাখতে পারেনি তারা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে ওঠা প্যারাগুয়ে ২৯তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায়। সান্তোসের ফরোয়ার্ড দেরলিস গনসালেসের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বড় ধাক্কা খায় প্যারাগুয়ে। ৫৪তম মিনিটে ফাবিয়ান বালবুয়েনা তাদের ডি-বক্সের মুখে রবের্তো ফিরমিনোকে ফাউল করলে প্রথমে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পাল্টে ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ডিফেন্ডার বালবুয়েনাকে দেখান সরাসরি লাল কার্ড।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সবই যাচ্ছিল ভেস্তে। ৭৪তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটি পান গাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু ছোট ডি-বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর এভেরতনের শট একজনের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
পেনাল্টি শুট আউটে প্যারাগুয়ের প্রথম শটেই মিস করেন ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেস। মাঝের তিনটি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিগেল আলমিরোন, ব্রুনো ভালদেস ও মাতিয়াস রোহাস।
ব্রাজিলের প্রথম তিন শটে লক্ষ্যভেদ করেন উইলিয়ান, মার্কিনিয়োস ও ফিলিপে কৌতিনিয়ো। কিন্তু রবের্তো ফিরমিনো চতুর্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩।
প্যারাগুয়ের শেষ শট নিতে আসা গনসালেস বল পোস্টের বাইরে মারার পর গাব্রিয়েল জেসুসের নিখুঁত শটে শেষ চারে ওঠে স্বাগতিকরা।
তিন আসর পর কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে উঠল ব্রাজিল। ২০১১ ও ২০১৫ সালে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে বাদ পড়ার পর গত আসরে গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারেনি তারা।