*প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি থাকবে নতুন আইটেম * বৈদেশিক মুদ্রার প্রচলিত উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নতুন ৩৭টি পণ্য টার্গেট করে রফতানি ঝুড়ি বড় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে অতি পরিচিত পোশাক, পাট, চামড়া ও চিংড়ি মাছের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চাহিদা রয়েছে এমন সব পণ্য উৎপাদন ও রফতানির তাগিদ দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে এই মুহূর্তে রয়েছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী। এর বাইরেও বিদেশে চাহিদা রয়েছে এমন ৩৭টি পণ্য খুঁজে বের করা হয়েছে। এসব পণ্যের রফতানি বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন রফতানি আয় বাড়বে তেমনি প্রচলিত বৈদেশিক মুদ্রার উৎসের ওপর নির্ভরশীলতাও কমবে।
দেশে সাধারণত তৈরি পোশাক, পাট, চামড়া, চিংড়ি এবং বিদেশে কর্মরত কর্মীদের আয়ই হচ্ছে রেমিটেন্সের প্রধান উৎস। কোন কারণে এইসব উৎসে ভাটা পড়লে দেশের অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি হয়। এই চিন্তা থেকে অপ্রচলিত পণ্য খোঁজা শুরু হয় যা আমাদের দেশে প্রচুর উৎপাদন হয় এবং বিদেশেও চাহিদা রয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
করোনা নতুন বিপদ হলেও নতুন বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশের সামনে। গুণগত মান বজায় রেখে মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডগ্লাভস, শিল্ড এবং সুরক্ষা পোশাকের উৎপাদন করা গেলে রফতানিও বৃদ্ধি করা সম্ভব। ইতোমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে করোনা সামগ্রী রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ওষুধ রফতানির সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ রফতানি শুরু করেছে। ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করে বাজার খোঁজা হলে এই খাতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণোদনা প্যাকেজে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ও বাজেট থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, রফতানি বহুমুখীকরণের উদ্যোগ হিসেবে এবার যে ৩৭টি পণ্যের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে এর মধ্যে জাহাজ, ওষুধ, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড হোম এ্যাপ্লায়েন্স, এ্যাগ্রোপ্রসেস সামগ্রী, কাগজ, প্রিন্টেড ও প্যাকেজিং সামগ্রী, আইসিটি, রাবার, পাদুকা, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড প্রভৃতি রয়েছে। গত অর্থবছরে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ডলারের কাঁকড়া রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৩৬৫ কোটি টাকার সমান। এ ছাড়া রফতানি হয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের তামার তার, ১ কোটি ১৬ লাখ ডলারের গলফ খেলার স্টিক, ৫৪ লাখ ডলারের কৃত্রিম ফুল। রফতানিতে আরও নতুন নতুন খাত সন্ধান করা হচ্ছে। এর ফলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সরকার রফতানিপণ্য বহুমুখীকরণ ও রফতানি পণ্যের মান উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে। এ উদ্দেশ্যে সরকার কতিপয় রফতানিযোগ্য পণ্যকে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ তালিকায় আছে জাহাজ, ওষুধ, ফার্নিচার, বহুমুখী পাটপণ্য, আইসিটি, রাবার ও পাদুকার মতো পণ্য। তিনি বলেন, রফতানি পণ্যের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্লাস্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে কমপ্লায়েন্স হ্যান্ডবুক প্রণীত হয়েছে। রফতানি পদ্ধতি সহজীকরণের লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেজিস্ট্রার্ড এক্সপোর্ট সিস্টেম (আরইএক্স) চালু করা হয়েছে। যার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানির ক্ষেত্রে রফতানিকারকগণ পণ্যের উৎস সম্পর্কে স্টেটমেন্ট অব অরিজিন জারি করতে পারছেন। এতে রফতানি আরও সহজ হচ্ছে।
এদিকে, দেশের রফতানি বাজার মূলত পোশাকনির্ভর হলেও প্রধান রফতানি পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে পাট, চামড়া ও চিংড়ি। তবে প্রতিযোগিতামূলক রফতানি বাজারে টিকে থাকতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও বিকল্প বাজারে নজর দিচ্ছেন রফতানিকারকরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বা পরিচিত পণ্যের পাশাপাশি রফতানি পণ্যের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে নতুন নতুন পণ্য। বেশ কয়েক বছরে এসব অপ্রচলিত পণ্য ধীরে ধীরে রফতানি বাজারে নিজেদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এসব পণ্য রফতানি বেড়েছে, যা আশা জাগাচ্ছে রফতানি আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে। চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। করোনাকালে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে অপ্রচলিত পণ্য বিশেষ করে নতুন নতুন পণ্যের রফতানি বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে প্রচলিত পণ্যের বাইরে বাংলাদেশ থেকে অপ্রচলিত পণ্য রফতানি বেড়েছে। বাইসাইকেল, টুপি, জাহাজ, আলু, হস্তশিল্প, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া, পরচুলা, গরুর নাড়িভুঁড়ি, চারকোল, টুপি, মাছ ধরার বড়শি, মশারি, শুকনা খাবার, পাঁপড়, হাঁসের পালকের তৈরি পণ্য, লুঙ্গি, কাজুবাদাম, চশমার ফ্রেম, কৃত্রিম ফুল, গলফ শাফট, খেলনা, আগর, ছাতার লাঠি, শাকসবজির বীজ, নারিকেলের ছোবড়া ও খোল দিয়ে তৈরি পণ্য প্রভৃতি। এ ধরনের ১০০- এর বেশি পণ্য রফতানি হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু পণ্য রফতানির বিপরীতে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকিও দিয়ে থাকে সরকার। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে টুপি রফতানির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭১৬ কোটি টাকার বাইসাইকেল রফতানি হয়েছে। মেঘনা গ্রুপ ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপসহ কয়েকটি বড় কারখানা রয়েছে সাইকেল উৎপাদনের। প্রধান রফতানি পণ্য পোশাকের পাশাপাশি দেশের আনাচ কানাচে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে নানামুখী রফতানি পণ্যের ছোট ছোট কারখানা। কেউ দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে, আবার কেউ বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে এসব কারখানা গড়ে তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রফতানি বহুমুখীকরণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ এতদিন দেখা যায়নি। তবে দেশের রফতানি বাণিজ্যের গুরুত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠায় এখন বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এটা ভাল দিক। তিনি বলেন, রফতানি সহায়তা থেকে বের হয়ে উদ্যোক্তাকেন্দ্রিক সহায়তা দিতে হবে।
বছরে ২ হাজার কোটি টাকার টুপি রফতানি ॥ দেশের বগুড়া জেলায় হাতে উৎপাদিত টুপি দেশের গ-ি পেরিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। বছরে ২ হাজার কোটি টাকার টুপি রফতানি হচ্ছে। জেলার ধুনট, শাজাহানপুর, বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর উপজেলার শতাধিক গ্রামে টুপি তৈরি করা হয়। এছাড়া দেশের অন্য জায়গায়ও টুপি তৈরি করা হয়। প্রায় তিন লাখ নারী জড়িয়ে পড়েছেন টুপি তৈরির এই কাজে। বগুড়ায় গড়ে প্রতিদিন টুপি তৈরি হচ্ছে দুই লাখ। প্রতিটি টুপির বাজারমূল্য গড়ে ৩০ টাকা। সেই হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৬০ লাখ টাকার টুপি তৈরি হয় বগুড়ায়। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের টুপি।
আগর চুল ও গরুর নাড়িভুঁড়ি রফতানি হচ্ছে ॥ আগর, চুল ও গরুর নাড়িভুঁড়ি রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়। প্রতিবছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি বিদেশে রফতানি হচ্ছে। সিংহভাগই যাচ্ছে চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে। এটি দিয়ে উন্নত মানের স্যুপ ও সালাদ তৈরি হয় এবং তা চীনাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় খাবার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের কৃত্রিম চুল ও মানুষের মাথার চুল রফতানি হয়েছে। ১ ডলার ৮৫ টাকা করে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নারীরা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর পর যে চুল পড়ে, তা ফেলে না দিয়ে গুছিয়ে রাখেন বিক্রির জন্য। গ্রামের ফেরিওয়ালারা মাসে একবার সেই চুল কিনে নিয়ে যান। চুলের বিনিময়ে চুড়ি, শাড়ি, হাঁড়িপাতিলও বদল হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড মার্কেটসের গ্লোবাল আউটলুক ও ফোরকাস্ট বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে পরচুলার বৈশ্বিক বাজার হবে ১ হাজার কোটি ডলারের, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এক কেজি চুল প্রক্রিয়াজাতকরণের পর ৬০০ গ্রাম হয়। বাংলাদেশ থেকে দুই রকমের চুল রফতানি হয় এবং মান নির্ণয় করা হয় চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী। জানা গেছে, প্রতি কেজি চুলের দাম ৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া দেশী মুদ্রায় বিশ্ববাজারে প্রতিবছর ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার আগরের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে রফতানি করে মাত্র ১৩ কোটি টাকার আগর। শুধু মুসলমান নয়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও আগরের ব্যবহার বেশি। এছাড়া মশারি রফতানি হচ্ছে বিদেশে।
১৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে ওষুধ ॥ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ ওষুধ বাংলাদেশে উৎপাদন ও রফতানি হচ্ছে। চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওষুধ বিশ্বের ১৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে। আগামী দিনে দেশেই উৎপাদিত হবে ওষুধের কাঁচামাল। ওষুধ রফতানি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী এ খাতের উদ্যোক্তারাও। দেশের ওষুধ রফতানি প্রতিবছরেই বাড়ছে। এ বছরও এরই মধ্যে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ ওষুধ রফতানিতে বাংলাদেশ ১ নম্বর দেশ হতে পারে দেশের ওষুধ খাত। এ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাকের বাইরে দেশ থেকে অপ্রচলিত পণ্যের রফতানি বাড়ছে। এটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য ভাল। এখন দেশের রফতানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। তিনি বলেন, পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা এখন মাস্ক ও পিপিই রফতানি করছে। এভাবে রফতানি বহুমুখী হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের ১৪টি খাত করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাক খাতের এক্সেসরিজ, প্রসাধন, বৈদ্যুতিক পণ্য, পাট, সুতা, মুদ্রণ শিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম, চশমা, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, কাঁকড়া ও কুঁচে এবং প্লাস্টিক শিল্পসহ মোট ১৩ খাতের ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যারা ভ্যালু চেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা গত চার মাস ধরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সেটা এখন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
করোনা সুরক্ষা সামগ্রী রফতানি হচ্ছে ॥ রফতানিতে যুক্ত হয়েছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী। মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, শিল্ড ও পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের করোনা সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিষয়টিকে ইতিবাচত হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে রফতানি কিছুটা ধাক্কা খেলেও নতুন পণ্য বিশেষ করে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী রফতানি হচ্ছে। আগামীতে সারাবিশ্বে করোনা সামগ্রী রফতানির সুযোগ আসবে। উদ্যোক্তাদের এই সুযাগ নিতে হলে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।