টিকা তৈরির পরের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বললেন গেটস

bill-gates

সংকট কাটিয়ে সমাজ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে কোভিড-১৯ এর টিকায় বিশ্বের এখন কী দরকার, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

পোস্টে গেটস বলেন, “বাস্তবিক অর্থে, আমরা যদি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত যেতে চাই, আমাদেরকে একটি নিরাপদ, কার্যকর টিকা বানাতে হবে। আমাদেরকে শত শত কোটি ডোজ বানাতে হবে, এগুলো বিশ্বের সব অঞ্চলে পৌঁছাতে হবে এবং এগুলো যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।”

মহামারী ঠেকাতে টিকা অন্তত ৭০ শতাংশ কার্যকর হতে হবে বলেও জানিয়েছেন গেটস– খবর সিএনবিসি’র।

টিকা ৬০ শতাংশ কার্যকর হলে সেটিও ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু এতে স্থানীয় পর্যায়ে মহামারী চলতেই থাকবে। আর কার্যকরিতার দিক থেকে ৬০ শতাংশের নীচে এমন টিকা ভাইরাস থামাতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

১৮ মাসের মধ্যেই নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা আসবে এ ব্যাপারে আশাবাদী গেটস। তারপরও এটি নয় মাস বা দুই বছর পর্যন্ত পিছিয়ে থাকবে। প্রথমেই টিকা পুরোপুরি নিখুঁত হতে হবে না এবং পরিশোধিত টিকা বানানোর জন্য সময় পাওয়া যাবে।

গেটস আরও বলেন, ব্যবহারযোগ্য টিকা একবার প্রস্তুত হলে এটি প্রথমে স্বাস্থ্য-সেবার কর্মী এবং দরিদ্র দেশগুলোর মানুষকে দেওয়া উচিত। বিশ্বে প্রায় সাতশ’ কোটির মত ডোজ লাগবে এবং মাল্টি ডোজ ওষুধ হলে আরও বেশি লাগবে।

সব শেষে কিছুটা আশার কথাও শুনিয়েছেন গেটস, “এখন এটি দেখতে পারাটা হয়তো কঠিন, কিন্তু সুড়ঙ্গের ওপারে কিছুটা আলো রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টিকা আনতে আমরা ঠিক কাজটি করছি।”

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে দুই লাখ ৩৩ হাজার।

Pin It