তিন ফরম্যাটেই বার্ষিক হালনাগাদ শেষে গত শুক্রবার নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। ভারতকে টপকে টেস্ট র্যাঙ্কিং চূড়ায় এসেছে অস্ট্রেলিয়া। টি-২০ তেও শীর্ষে অজিরা। ওয়ানডেতে এক নম্বরে ইংল্যান্ড। বার্ষিক হালনাগাদ বাংলাদেশের জন্য মিশ্র অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছে। কারণ লাল বলে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। সাদা বলে উন্নতি হয়েছে।
নতুন র্যাঙ্কিং বাংলাদেশের জন্য গ্লানিকর খবর টেস্টে আফগানিস্তানের পেছনে পড়ে যাওয়া। টেস্টে ৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আবার টি-২০ তে একই দলকে টপকে যেতে পেরেছে টাইগাররা। ক্ষুদে ফরম্যাটে ২ ও ওয়ানডেতে ১ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের।
সাদা পোশাকে আফগানদের পেছনে পড়ে যাওয়ায় হতাশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমরা সব সময় চাই যে টেস্টের র্যাঙ্কিং যেন উন্নতি আসে। আমরা দেশের বাইরে ভালো খেলি নাই, এটা আমাদের বড়ো কারণ ছিল। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে হারাটা আমাদের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল। এই র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়াটা অবশ্যই হতাশার।’
করোনার বিরতি শাপেবর হতে পারে বলে আশা প্রধান নির্বাচকের। টেস্টে নতুন করে শুরু করতে হবে জানিয়ে নান্নু বলেছেন, ‘এটা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ আছে। যেহেতু এই বছর অনেকগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ ছিল। করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে গেলাম। এই ব্রেকটাও আমি মনে করি আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আবার নতুনভাবে শুরু করব। মানসিকভাবে শক্ত, প্রস্তুতি নিয়ে লংগার ভার্সন ক্রিকেটকে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।’
টেস্টে বাংলাদেশ এখন ১০ নম্বর দল (রেটিং ৫৫), আফগানরা আছে ৯ নম্বরে (রেটিং ৫৭)। ওয়ানডেতে ৭ নম্বরেই আছে বাংলাদেশ। গত ফেব্রুয়ারি হোমে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আগে টানা ছয় টেস্টে হেরেছিল বাংলাদেশ। যার প্রভাবই পড়েছে র্যাঙ্কিং এ।
টি-২০ তে ৮ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, আফগানদের অবস্থান ১০। টি-২০র উন্নতিটা বিশ্বকাপে কাজে লাগানোর আশা করছেন নান্নু।
গতকাল তিনি বলেছেন, ‘টি-২০ তে আফগানিস্তানের ওপরে যেতে পারাটা ভালো খবর। কারণ টি-২০ তে আফগানিস্তান সব সময় ভালো দল। ওদের প্লেয়ার বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে খেলে থাকে। যেটা আমাদের প্লেয়াররা খেলে না। বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বলে আরো প্লাস পয়েন্ট। এটা আশা করি ওখানে ভালো খেলতে সাহায্য করবে আমাদেরকে।’
এবারের বার্ষিক হালনাগাদে গত বছরের মে মাস থেকে দলগুলোর পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে শতভাগ, আগের দুই বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এসেছে শতকরা ৫০ ভাগ করে।