রাশিয়ার সীমান্ত থেকে অনেকটা ভেতরের নিশানায় ইউক্রেইনকে হামলা চালানোর সুযোগ করে দিতে তাদেরকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিন্তাভাবনার মধ্যে এ বৈঠক হতে চলেছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে মূল আলোচনা হতে পারে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে।
রাশিয়ার সীমান্ত থেকে অনেকটা ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে ইউক্রেইনকে হামলা চালানোর সুযোগ করে দিতে তাদেরকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের চিন্তাভাবনার মধ্যে এ বৈঠক হতে চলেছে।
ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ফোনালাপের কথা জানানোর এক দিন পর এই বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকের জন্য জেলেনস্কি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন।
জানুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে জেলেনস্কির তৃতীয় সফর এটি। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে তিনি বলেন, “টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা শুনতেই মস্কো তাড়াতাড়ি করে আলোচনায় ফিরতে চাইছে।”
ইউক্রেইনকে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৫০০ মাইল)। বৈঠকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে চাপ দিতে পারেন জেলেনস্কি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবছেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমরা দেখব… আমি দিতে পারি।” ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধের সমাধান না হলে ট্রাম্প ইউক্রেইনকে টমাহক সরবরাহের ইঙ্গিত দেন।
যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র টমাহকের মজুত ফুরিয়ে ফেলতে পারে না। এগুলো দেশেরও দরকার…তাই এ বিষয়ে কী করায় যায়, তা তিনি নিশ্চিত নন। এতে ট্রাম্প ইউক্রেইনকে টমাহক দেবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ওদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভও এরই মধ্যে ফোনে ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বড় ক্ষতি হবে।
তবে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে কোনও সমাধানে পৌছতে না পারার জন্য ট্রাম্প সম্প্রতি কয়েকমাসে রাশিয়া এবং পুতিনকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আর তাই জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউজের বৈঠকে টমাহক হোক বা টমাহকের চেয়ে কিছুটা কম ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রই হোক একটি অস্ত্র চুক্তি হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।





