দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার মধ্যরাত ১২টার দিকে লাচ্ছি ও পানি পানের মধ্য দিয়ে তারা এই কর্মসূচির ইতি টানেন বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন।
মাকসুদ কামাল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর ও জিএস গোলাম রাব্বানী রাতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে অনশনকারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
এক পর্যায়ে তাদের অনুরোধে সাড়া দেন চার দিন ধরে অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “তাদের অভিযোগগুলো আমরা আমলে নিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে আরো স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া যায় সেই বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাবছি। তাদের দাবি ছিল স্বচ্ছ নির্বাচনের, সোমবার এই অনশনকারীদের নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একটা বৈঠক হবে। সেখানে আমরা অভিযোগগুলো আরও শুনব।
“আমরা তাদেরকে বলেছি, নির্বাচন আরো কীভাবে স্বচ্ছ করা যায় সেটা নিয়ে আগামীতে আমরা কাজ করব। আমাদের কথা শুনে তারা অনশন ভেঙেছে।”
শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে চলে যাওয়ায় এখন আর এখানে কেউ নেই
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, “আগামী সোমবার প্রশাসন আমাদের সঙ্গে বসবে বলেছে।তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন। এরপরে আমরা অনশন ভেঙেছি।“দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবার অনশনে বসব।”
গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রতীক্ষিত ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। ভোটের দিন কুয়েত-মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধার ও রোকেয়া হলে গণ্ডগোলের মধ্যে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় পাঁচটি প্যানেল।
নির্বাচনের ফল বাতিল করে ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও রোকেয়া হলের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে ভোটের পরদিন সন্ধ্যা ৬টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেন ছয় শিক্ষার্থী।
এরপর অনশনে অসুস্থ হওয়ার পর তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবার নতুন করে অনশনে যোগ দেন বেশ কয়েকজন।