ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) পূর্ণ প্যানেলে জয়ের পথে রয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ১৮টি হল সংসদেরও বেশিরভাগে পূর্ণ প্যানেলে জিতেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম এ ছাত্র সংগঠনটি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলসহ বাকি সংগঠনগুলোর বর্জন করা এ ভোটে ডাকসুতে ভিপি পদে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, জিএস পদে সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং এজিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন জয়ের পথে রয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হয়নি। ডাকসুর বাকি ২২ পদেও ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা জয়ের পথে রয়েছেন।
নির্বাচনে, ১৮টি হলের ২৩৪টি পদে ৬১ জন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবারের ভোটে বাকি ১৭৩ পদের বেশিরভাগই জিতেছে ছাত্রলীগ। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে ছাত্রলীগ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছে। জহুরুল হক হলে জিএস বাদে বাকি পদে বিজয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। এ হলে জিএস নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতিুন্নেসা মুজিব হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিকি হায়দার আশা, সাহিত্য সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদিজা শারমীন এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাসমীম হালিম মীম বিজয়ী হন। বাকি পদগুলো ছাত্রলীগ জিতেছে।
সোমবার সকাল আটটায় শুরু হয় বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসুর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে বেলা ১টার দিকে নির্বাচন বর্জন করে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা শিক্ষকরাও ভোট নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেছেন, তিনি বিব্রত। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ। সাধারণ ভোটারদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, পুরো নির্বাচন ছিল ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রিত। বহু সাধারণ ছাত্র ভোট দিতে পারেননি। ছাত্রলীগের দাবি, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নাটক করেছে নির্বাচন বর্জনকারীরা।