ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দিনভর কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। বিক্ষোভকারীরা ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারসহ তিন দফা দাবি জানান। হামলার প্রতিবাদে ঢাকার বাইরেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বর্বরোচিত এ হামলার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকারের নির্দেশে ঢাবি ক্যাম্পাস থেকেই বিতর্কিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই নেতা আল মামুন ও ইয়াসির আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এতে হামলায় অংশ নেওয়া আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনে ভিপি নুর ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার সময় আশপাশে ৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ফুটেজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নুরসহ অন্যদের মারধরের পরপরই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ডডিস্ক, মনিটর ও সিপিইউ গায়েব হয়ে গেছে। কে বা কারা এই ফুটেজ নিয়ে গেছে, তা জানে না কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে ডাকসুতে দায়িত্বরত সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি হামলার আশঙ্কার কথা জানাতে প্রক্টরের কাছে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ডডিস্ক, মনিটর ও সিপিইউ নেই।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য থেকে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রক্টর অফিসের সামনে গিয়ে বেশ কিছু সময় অবস্থান করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেন।
পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ফের রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশ থেকে ডাকসু নেতা আখতার হোসেন অবিলম্বে ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলাকারী জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, দায়িত্বে অবহেলায় প্রক্টরের পদত্যাগ অথবা অপসারণ এবং ডাকসু ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানান। এ দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার সমাবেশ করার ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় আখতার বলেন, ভিপি নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে সমন্বয় করে হামলা করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে দাবি করে আখতার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে হামলাকারীদের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। অবিলম্বে সেই ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় প্রমাণ হবে, প্রশাসনের মদদেই এ হামলা হয়েছে।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রশাসনের দায়িত্ব হলেও তারা তা করেনি। প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলন প্রতিহত করতে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন ও তাদের মদদে তৈরি তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কার স্বার্থ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে এমন হামলা মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট অপমান।
হামলা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি: ডাকসু ভবন ও মধুর ক্যান্টিন এলাকায় হামলার ঘটনা তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের ছয় কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য অধ্যাপক অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।
থানায় পুলিশের মামলা, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই নেতা গ্রেপ্তার: হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই নেতাকে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন সংগঠনটির একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ডিবি এই অভিযান চালায়। গত রাতে আরও একজনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেলেও পুলিশের কেউ নিশ্চিত করেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
এদিকে, রোববারের হামলার ঘটনায় গতকাল মধ্যরাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, গুরুতর জখম ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানিয়েছেন, তারা আহতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা দায়ের করতে বলেছিলেন। কিন্তু রাত ১২টা পর্যন্ত কেউ মামলা করেননি। এ জন্য পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। রোববারের ঘটনায় আহত কেউ পরে মামলা করলে সেটি পুলিশের দায়ের করা এজাহারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
ওসি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও নাম দেখে মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে অন্য ক্যাম্পাসে যাতে উত্তেজনা না হয়, সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে। ওই ঘটনার জেরে কেউ উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে- এমন কিছু হতে দেওয়া হবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
ক্যাম্পাস শান্ত রাখতে প্রস্তুত ঢাবি প্রশাসন: নুর ও তার অনুসারীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী।
‘ছাত্রলীগকে জড়ানো গণমাধ্যমের মিথ্যাচার’: ডাকসু ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন। কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগকে জড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল দুপুরে মধুর ক্যান্টিনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে নুরের দুর্নীতির যে অডিও ফাঁস হয়েছে, সেটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, নুর, বহিরাগত এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়। তবে হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সাদ্দাম বলেন, অতীতেও ছাত্রলীগের মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে। এবারও সেটি হচ্ছে। গণমাধ্যমের এই মিথ্যাচার সাধারণ ছাত্ররা বিশ্বাস করে না।
প্রশাসনই হামলার মদদদাতা- জোনায়েদ সাকি: ভিপি নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত নুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত একজন ভিপি কী বক্তব্য দেবেন- এটা প্রক্টর নির্ধারণ করতে পারেন না। একজন ভিপি শিক্ষাঙ্গন, সারাদেশ, এমনকি সারাবিশ্ব নিয়ে কথা বলতে পারেন। এটি তার স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।
বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ, ভিপি নুরের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি: ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
বরিশাল: হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ভিপি নুরের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গতকাল দুপুরে মুরাদ চত্বর থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বক্তব্য দেন। তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও বাম জোটের নেতারা হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখায়ের আলম মাসউদ।
অধ্যাপক নকীব বলেন, বিজয়ের এ মাসে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা অবমাননা করছে, এর দায় তাদের নিতে হবে।
শাবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, লুবনা সুলতানা ও তানভীর আকন্দ।
পটুয়াখালী: ভিপি নুরুল হক নুরের নিজ এলাকা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রোববার রাতে চরবিশ্বাসের বুধবাড়িয়ে বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য জিয়াউল হক জুয়েল, নুরের চাচা মো. আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজন।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিকেলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জেলা শাখার ব্যানারে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম মুকুল, মানিকগঞ্জ জেলা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।