বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেন বলেছেন, যারা মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করছে, তারা ‘ডাকাত’।
‘ডাকাত’ বলার কারণে রোষের মুখে পড়ার জন্য প্রস্তুত আছেন জানিয়ে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ারও করে দিয়েছেন তিনি।
বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া কামাল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছিলেন।
মঙ্গলবার মানবাধিকার দিবসের এক আলোচনায় কামাল বলেন, “আইনের শাসন থেকে যদি আমাকে বঞ্চিত করা হয়, সংবিধান যে আশ্রয় দিয়েছে, সেটা থেকে যদি বঞ্চিত করা হয়, মৌলিক অধিকার থেকে যদি বঞ্চিত করা হয়, এরা অপরাধী, মানে ডাকাত।
“ভোট ডাকাতের চেয়ে বড় ডাকাত হতে পারে না। মৌলিক অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করে, এর চাইতে বড় ডাকাত হতে পারে না। এদেরকে ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত করেন।”
সরকারবিরোধী এই নেতা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “হ্যাঁ, আমি ডাকাত বলেছি। কী আছে? কেউ যদি মনে করে আমাকে তুলে নিতে পারে, করুক।”
ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় বলে আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ার করেন দলটির এক সময়ের এই নেতা।
তিনি বলেন, “আমি বলি, জনগণের অধিকারের ব্যাপারে তোমরা পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল হও, সংবিধানকে মেনে চল।”
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কামাল বলেন, “কেউ আমাদেরকে বঞ্চিত করার অধিকার রাখে না। যদি করে তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে শায়েস্তা করব এবং আমাদের অধিকার আমরা অবশ্যই ভোগ করব।”
কামাল বলেন, “আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে এই ধরনের মিটিং করেন। ১৯৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত ইতিহাস যদি দেখেন- স্বৈরাচাররা চিরস্থায়ী হতে পারে নাই, তাদের পরাজিত হতে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারদের মানুষের কাছে ধিকৃত হয়ে শাস্তি হয়েছে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী পরিচালক তালুকদার মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মইনুল হোসেন, সাবেক সচিব এএইচএম মোফাজ্জল করিম, সারোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, ফরিদ আহমেদ, গোলাম মাওলা চৌধুরী বক্তব্য রাথেন।