জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে যেতে না চাওয়ায় চিকিৎসকদের প্রতি আবারও ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তাররা যেখানে চাকরি করেন, সেখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করলে তবুও হয়তো কিছুটা ভালো হতো। যখন চাকরি করেন এক জায়গায়, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন আরেক জায়গায় বা পার্টটাইম পড়ান আরেক জায়গায়, তখন তারা হাসপাতালে থাকতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডাক্তার আমরা দিই, কিন্তু ডাক্তার যেতে চান না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা তো আমাদের চেষ্টা করতে হবে মিটমাট করার জন্য। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, ডাক্তাররা যেখানে চাকরি করেন, সেখানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করলে তবুও হয়তো কিছুটা ভালো হতো।
পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যে, আগুন লাগলে দমকল বাহিনী পানি পায় না। এর জন্য হলেও ‘ড্রেন ওয়াটার’ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন, কাজে লাগবে। বাড়ির আশপাশের খাল-বিল, পুকুর থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করে তাতে পানি সংরক্ষণ করুন, এটা খুব বেশি দরকার।
আট প্রতিষ্ঠাকে প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ কোটি টাকার অনুদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আট প্রতিষ্ঠানকে ১৪০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আট প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ কোটি টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরকে ১৫ কোটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে পি জে বিশেষায়িত হাসপাতাল ১০ কোটি এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
এ সকল প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেন বলে প্রেস সচিব জানান।