ডিআইজি মিজানকে বরখাস্ত করে তার বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। ডিআইজি মিজানকে ইতিমধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ীই তার শাস্তির বিধান হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, এক নারীকে জোর করে বিয়ে এবং নির্যাতনের অভিযোগে মামলার পর পুলিশ সদর দপ্তরে এতদিন সংযুক্ত ছিলেন আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছিল পুলিশ সদরদপ্তর। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ এপ্রিল ডিআইজি মিজানকে তলব করে দুদক।
এছাড়াও, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে অস্ত্রের মুখে এক টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ পাঠককেও তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার দাবি ও তাদের কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস করে নতুন বিতর্ক তৈরি করেন ডিআইজি মিজান।
গত ১৬ই জুন, ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা তা জানতে চান দেশের সর্বোচ্চ আদালতও।