চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৩ হাজার চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বুধবার নতুন করে দুই হাজার ৪২৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ হিসাবে প্রতি মিনিটে প্রায় দু’জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন এবং একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে নতুন করে দুই হাজার ৪২৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় এক হাজার ২৭৫ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার ১৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ৩ আগস্ট থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ৩ আগস্ট নতুন করে এক হাজার ৭০৩ আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর বুধবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এক হাজার ৮৯৬ জন, দুই হাজার ৮৫ জন, দুই হাজার ৩৪৮ জন এবং দুই হাজার ৪২৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি আগস্টের সাত দিনে রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৭৯ জনে দাঁড়াল।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩২ হাজার ৩৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ হাজার ৬১০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। বর্তমানে আট হাজার ৭০৭ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৩৮ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৩৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় তিন হাজার ৩১৮ জন ভর্তি আছে।
বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আওলাদ হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদরে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে মিঠুন ফয়সল চৌধুরী নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শাহবন্দর এলাকায়। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৭২১, মিটফোর্ডে ৪৮৫ ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৬৮, সোহরাওয়ার্দীতে ৪১৭, বারডেমে ৭০, বিএসএমএমইউতে ১৩৬, পুলিশ হাসপাতালে ১৫৯, মুগদায় ৪৭৯, বিজিবি হাসপাতালে ২৪, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৯৭, কুর্মিটোলায় ৪৩০, হলি ফ্যামিলিতে ২২৪, বাংলাদেশ মেডিকেলে ১৪৭, ইবনে সিনায় ১০২, স্কয়ারে ১০০, কমফোর্টে ৩১, শমরিতায় ৪৫, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩০, ল্যাবএইডে ৬৯, সেন্ট্রালে ১০৭, হাই কেয়ারে ৩৪, হেলথ অ্যান্ড হোপে ১৫, গ্রিন লাইফে ৩৮, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ১১২, ইউনাইটেডে ১০৩, খিদমায় ২৪, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেলে ৬২, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৯, অ্যাপোলোতে ৯০, আদ-দ্বীনে ১১৮, ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ৫২, বিআরবি হাসপাতালে ৩৯, আজগর আলীতে ৭৬, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে, উত্তরা আধুনিকে ৬৪, সালাউদ্দিনে ৫৭, পপুলারে ৪৮, উত্তরা ক্রিসেন্টে ৩৭, আনোয়ার খান মর্ডানে ১০৮, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ২১ জনসহ ৫ হাজার ৩৮৯ রোগী ভর্তি আছে।
এ ছাড়া রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৭০০, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭২ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪২৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৪০২ জন, সিলেট বিভাগে ৯২ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩১৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন।