আজ কমছে, কাল বাড়ছে– হ্রাস-বৃদ্ধির এমন চক্রেই আবর্তিত হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার নতুন করে ১ হাজার ১৮৯ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এর চেয়ে কিছু কম ছিল।
গত ৮ আগস্ট থেকে এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে। চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ রোগী ছিল গত ৬ আগস্ট, ২ হাজার ৪২৮ জন। এরপর ১১ আগস্ট পর্যন্ত একদিনও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের নিচে ছিল না। সবচেয়ে কম রোগী ছিল গত বুধবার। ওই দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১ হাজার ১৫৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১ হাজার ১৮৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকায় ৫২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৬৫ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে ৬৩ হাজার ২০০ জন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে। এখনও পাঁচ হাজার ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৪১ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৭৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালে ২ হাজার ২৪৫ জন।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে শারমিন আক্তার নামে এক নারী রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে।
এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে সিয়াম নামে এক শিশু এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে সজিব দাস নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সিয়ামের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে, আর সজীবের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ গ্রামে। এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনীষা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ এলাকায়।





