এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে বাংলাদেশ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এ দাবি করেন।
ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যচিত্র তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ২ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৫১ জন, মৃত্যু ৪৬ জন। পক্ষান্তরে ভারতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৭ জন, শ্রীলংকায় তা ২৩ হাজার ৯৩১ জন, মালয়েশিয়ায় তা ৫০ হাজার ৬৫০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় তা ৮৮ হাজার ৫৯৩ জন। এছাড়াও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশেও গত ২৭ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। সিটি করপোরেশনসহ সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। একসময় শান্তিনগর, তেজগাঁও এলাকায় বৃষ্টি হলে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি আটকে থাকত, এখন সে পরিস্থিতি বদলে গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে ধানমন্ডিসহ যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়, তা বৃষ্টি থামার পর ঘণ্টাখানেক পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ ছাড়া যেসব এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে, তা দূরীকরণে সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সব প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব।
সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রমুখ।