ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের বিরুদ্ধে ‘অশোভন’ আচরণের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শ’খানেক কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন। আধা ঘন্টার মতো তারা সেখানে অবস্থান করেন।
এ সময় তারা মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব থেকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের অপসারণ দাবি করে শ্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা বলেছেন, ডেপুটি গভর্নরের কাছে তাদের ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিরা’ বিভিন্ন দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন দুদিন আগে।কিন্তু তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহঋণ বাড়ানো, স্টাফ বাসের মান বৃদ্ধি, অফিসার্স ক্যান্টিন চালু ও ডে কেয়ার সেন্টারের মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর আহম্মেদ জামালের দপ্তরে যান ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নেতারা।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে কথা না বলে উল্টো ‘উত্তেজিত হয়ে বের করে দেন’ বলে অভিযোগ করা হয় স্মারকলিপিতে।
এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের কাছে জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে তিনি বলেন,“বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল আছে। তাদের কিছু কার্যক্রম আছে। যার মধ্যে আছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আরো কিছু…।তারা আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অথচ তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে বাধা দিয়ে আসছে।
“তারা কিছুদিন আগে অনেকগুলো পদ জোরকরে আপগ্রেড করে প্রমোশন করিয়েছে। আবার কিছু দিন আগে ১৫০টি ডিজিএম পোস্ট করতে বলেছে।১৭৩টি জয়েন্ট ডিরেক্টর পোস্ট করতে বলেছে। এসব নিয়ে মাননীয় গভর্নর সাহেবের সাথে মিটিং হয়েছে। তিনি মানবসম্পদ বিভাগে দরকারি নির্দেশ দিয়েছেন।বিষয়গুলো মানবসম্পদ বিভাগে বিবেচনাধীন আছে। বিষয়গুলো আমার হাতে নেই।”
আহমেদ জামাল বলেন, “বিষয়গুলো নিয়ে বিরাট একটা গ্রুপ এসেছিল। আমি বলেছি, এখন আমি কথা বলব না; আমি অফিসিয়াল কাজ করছি। তারা জোর করে ঢুকতে চেয়েছে। তারপর তাদের মারমুখো ভাব দেখে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। যে বিষয়গুলো নিয়ে তারা আমার কাছে আসে সেগুলো আমারে এখতিয়ারে নেই।”
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের এক সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা যা বলার দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে বলেছি।”