আগামী ডিসেম্বরের কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেন যোগ না দিলে বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের একাংশের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু।
শনিবার বিকালে কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটির প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ড. কামাল হোসেন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিনি গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, আমি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন। দলে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। এই কাউন্সিলে তিনি (ড. কামাল হোসেন) যোগ দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন করবেন কাউন্সিলররা। কাউন্সিলররা যদি তাকে নেতা নির্বাচন করেন আমরা বিনা দ্বিধায় তার সঙ্গে কাজ করব কর্মী হিসেবে। আর তিনি যদি না আসেন তাহলে সারা দেশের কাউন্সিলরা বিকল্প নেতৃত্ব ঠিক করবেন। কারণ সংগঠন তো একটা জায়গায় বসে থাকতে পারে না।
মোস্তফা মহসিন মন্টু আরও বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র চর্চার কথা বলি। সেজন্য আমাদের দলে সেই কাজটি শুরু করতে চাই। আমরা আশা করব, গণফোরাম যে আদর্শ ও দর্শন নিয়ে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট যাত্রা শুরু করেছিল সেটা সমুন্নত রাখতে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সম্মেলনের জন্য কাজ করব।তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গুলশানভিত্তিক সংগঠন পরিচালনা কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংগঠনের কাজ মেনে নেয়া হবে না।
গত কমিটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রের ১৪-এর ধারায় বলা আছে, কাউকে বহিষ্কার করতে হলে, দল থেকে দূরে রাখতে হলে এবং নিষ্ক্রিয় করে দিতে হলে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভার সেই ক্ষমতা আছে এবং কোনো ব্যক্তি তিনি যত বড়ই হোক না কেন, যে পদেই থাকুক না কেন তার সেই এখতিয়ার নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্ধিত সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে আমরা বহিষ্কার করিনি। তিনিও কাউকে বহিষ্কার করতে পারেন না, অন্য কেউ পারেন না বর্ধিত সভা ছাড়া। গণমাধ্যমকে বলতে চাই, আমরা গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলব, নিয়মতান্ত্রিক মোতাবেক চলব, সেই নিয়মতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রের বাইরে স্বেচ্ছাচারিতার কোনো প্রশ্রয় আমরা দেব না, কর্তৃত্ববাদী কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলব।
আরামবাগে ইডেন কমপ্লেক্স এলাকায় গণফোরামের কার্যালয়ে একাংশের সম্মেলন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন পস্তুতি কমিটির এই সভায় ১৪টি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল হাসিব চৌধুরী, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ড. কামাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে গণফোরামের একাংশ বর্ধিত সভা করে ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়। মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।