তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের সময় জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সাংবাদিকরা কাজ করতে গিয়ে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, কয়েকজন মৃত্যুবরণও করেছেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে মালিকেরা চাইলেও গণমাধ্যম চালু থাকতো না। গণমাধ্যম মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, মানবিক বিবেচনায় সরকার যেমন সাংবাদিকদের সহায়তা করছে, তেমনিভাবে এসময় গণমাধ্যম মালিকদেরও সাময়িক কষ্ট হলেও সাংবাদিক ও কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ ও চাকুরিচ্যুতি না করার জন্য পুনরায় আহবান জানান।
গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় সরকারি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ে পত্র ও তাগিদ দেয়া হয়েছে যাতে করে সংবাদকর্মীদের বেতন দিতে সুবিধা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে, সেই পরিবারেরা আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরো সহায়তা দেয়া হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল। সহায়তাপ্রাপ্ত সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন দৈনিক জনতার আতাউর রহমান জুয়েল ও বাংলাদেশের খবরের মোহাম্মদ তারিক আল বান্না।
বক্তারা এ সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে ২০০ সাংবাদিককে চেক প্রদান করা হয়।