মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চলাচল বেড়েছে। সাজ সাজ রব চারদিকে। মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। তিনদিনের এ অয়োজন শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে। আয়োজনকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অনুষ্ঠান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের লাইফটাইমে এত বড় ইভেন্ট আর দেখিনি। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাংলাদেশে আসা উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তাই এদিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করছি। হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভিভিআইপি মুভমেন্টের জন্য কোনো পরীক্ষার্থী রাস্তায় যানজটে পড়লে বা পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী (১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভারতের রাষ্ট্রপতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, এসএসএফ ও পিজিআর নিয়োজিত থাকবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে আর্চওয়ে থাকবে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডিএমপি ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড টিম দিয়ে সুইপিং করা হবে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় বিশেষায়িত টিম সোয়াত মুভ করবে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
তিনি বলেন, যেসব পথে ভিআইপি এবং ভিভিআইপি চলাচল করবেন সেসব রাস্তায় ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি রুফটপে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে কিছু সংখ্যক রাস্তা বন্ধ থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বর্ণিল কুচকাওয়াজ দেখতে ৭টি দেশের ৩০২ জন বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। এ সময় সাধারণ দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩, ৪, ৫, ১৪, ১৫ ও ১৬নং গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। সেজন্য নগরবাসীকে বিরক্ত না হয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণপদ রায়, একেএম হাফিজ আক্তার এবং মুনিবুর রহমানসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।